সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের একদিন আগে পুদুচেরিতে জোড়া ধাক্কা খেল কংগ্রেস সরকার। রবিবার ইস্তফা দিলেন এক কংগ্রেস এবং এক ডিআইএমকে বিধায়ক। তার জেরে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর পাশাপাশি কংগ্রেস সরকারের হাতে মাত্র ১২ জন বিধায়ক আছেন। সেখানে বিরোধী বিধায়কের সংখ্যা ১৪।
সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, রবিবার বিধানসভার অধ্যক্ষ ভি পি শিবাকোলুন্ধুর বাসভবনে গিয়ে ইস্তফাপত্র জমা দেন রাজভবন কেন্দ্রের বিধায়ক কে লক্ষ্মীনারায়ণ। পরে সংবাদসংস্থা এএনআইকে তিনি বলেন, ‘সরকার এবং (দলের) সংগঠনে প্রাপ্য সম্মান না দেওয়ায় আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ তাহলে কি অন্য দল বা বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন? সেই সম্ভাবনা জিইয়ে রেখে লক্ষ্মীনারায়ণ বলেন, ‘আমার বিধানসভা কেন্দ্রের মানুষের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে আমি যোগ দেব।’ সঙ্গে ভি নারায়ণস্বামীর সরকারের উদ্দেশে তোপ দেগে বলেন, ‘নারায়ণস্বামীর সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে।’
সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ডিএমকে বিধায়ক কে ভেঙ্কটেশনও ইস্তফা দেন বলে জানিয়েছে এএনআই। তার ফলে কংগ্রেস সরকারের বিধায়ক সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১২। ২০১৬ সালে ডিএমকের তিনজন এবং একজন নির্দল বিধায়কের সমর্থন নিয়ে সরকার গড়েছিল সরকার। নিজেদের হাতে ছিল ১৫ জন। কিন্তু আপাতত ৩৩ আসন বিশিষ্ট বিধানসভায় (তিনজন মনোনীত) পাঁচজন সদস্য কমে গিয়েছে। তার ফলে বিধানসভায় সদস্যের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮। লক্ষ্মীনারায়ণ এবং ভেঙ্কটেশনের ইস্তফাপত্র গৃহীত হলে সেই সংখ্যাটা কমে দাঁড়াবে ২৬। আর অন্যান্য বিরোধী দলের সঙ্গে বিজেপির হাতে ১৪ জন বিধায়ক আছেন। তার ফলে বিধানসভা নির্বাচনের মাসদেড়েক আগে পুদুচেরিতে পড়ে যেতে পারে কংগ্রেস সরকার।