একের পর এক অভিযোগ তুলে কেরালায় পিনারাই বিজয়ন সরকারকে কাঠগড়ায় তুললেন কংগ্রেস নেতা রমেশ চেন্নিথালা। কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের বিরুদ্ধে সরাসরি সোনা পাচার ও আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগ তুলে চেন্নিথালা জানান, কেরালার মুখ্যমন্ত্রীর অফিস দুর্নীতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত আছে। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার সোনা পাচার ও আর্থিক দুর্নীতি মামলার তদন্তে ইচ্ছাকৃতভাবে গড়িমসি করছে।
'হিন্দুস্থান টাইমস'–কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কংগ্রেস নেতা জানান, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের পথে হাঁটছেন বিজয়ন। বিজয়নই হবেন দেশে বামপন্থীদের শেষ মুখ্যমন্ত্রী।একইসঙ্গে তিনি জানান, বিজয়নের সঙ্গে মোদীর কোনও তফাৎ নেই। দু'জনেই ‘স্বেচ্ছাচারী’। দু'জনই তাদের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ জোর করে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। সাক্ষাৎকারে শবরীমালা ইস্যুতেও সরব হয়েছেন চেন্নিথালা। তিনি জানান, বিজয়ন সরকার শবরীমালা মন্দিরে আগত পুণ্যার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। কংগ্রেস স্পষ্টই ইস্তাহারে জানিয়েছে, ক্ষমতায় এলে শবরীমালা মন্দিরের ঐতিহ্য প্রাচীন ধর্মীয় আবেগ যাতে অক্ষুণ্ণ থাকে, সেজন্য আলাদা আইন আনা হবে।
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের ভূমিকা নিয়েও বিজয়ন সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন চেন্নিথালা। তাঁর মতে, করোনা পরিস্থিতির ভালো মোকাবিলা করা হয়েছে, এই সব কথা বলে মিথ্যা প্রচার চালানো হয়েছে। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় দলের কিছু কর্মীদের দিয়ে প্রচার চালানো হয়েছে। কিন্তু পরে দেখা গিয়েছে, এই কেরালাই করোনার আঁতুরঘর হয়ে উঠেছে। একই সঙ্গে বিজয়নের বিরুদ্ধে চলা বিভিন্ন দুর্নীতির মামলার তদন্তে গরিমসি নিয়েও সুখ খোলেন চেন্নিথালা। তিনি জানান, ৩০ বছরের পুরনো লাভলিন কিটব্যাগ তদন্তে সিবিআই গড়িমসি করছে।ক্ষমতায় এসে সোনা পাচার থেকে শুরু করে আর্থিক নয়ছয়ের মামলার তদন্ত জোরদার হবে।
এদিন কংগ্রেসের এই নেতা জানান, বিভিন্ন সমীক্ষায় বামেদের নেতৃত্বাধীন এলডিএফ ফের ক্ষমতায় আসছে বলা হলেও কংগ্রেস বিশ্বাস করে, ফল অন্যরকম হবে। আসলে সম্প্রতি হওয়া স্থানীয় স্তরের ভোটের ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন সমীক্ষা করা হয়েছে।স্থানীয় স্তরের ভোট বিভিন্ন লোকাল ইস্যুর ওপর ভিত্তি করে হয়। কিন্তু এবারে মানুষ সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে রায় দেবে। তিনি বলেন, ‘আমরা ক্ষমতায় এলে কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন, তা দল ঠিক করবে। তবে এবারের প্রার্থী তালিকায় অনেক যুব সমাজের প্রতিনিধিকে জায়গা দেওয়া হয়েছে।’