পঞ্জাব নির্বাচনে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে? খুব সম্ভবত আজকেই সেই প্রশ্নের জবাব মিলবে। চরণজিত্ সিং চান্নি ও নভজ্যোত সিং সিধুর মধ্যে থেকেই একজনকে বেছে নেওয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে। আর এই আবহে বিদ্রোহের আতঙ্ক রয়েছে কংগ্রেসের অন্দরে। যদিও ভোটের আগে দলে ভাঙনের ‘সুযোগ’ কম। কারণ পঞ্জাবে ইতিমধ্যেই মনোয়ন প্রত্যাহারের তারিখ পার হয়েছে। আর তাই মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম প্রকাশের পর বিদ্রোহের সম্ভাবনা বা সুযোগ কম। এই পরিস্থিতিতে হাইকমান্ডের ‘কার্টেন রেইজারের’ আগে টুইট করে নিজের মনের কথা জানালেন নভজ্যোত সিং সিধু।
সাম্প্রতিককালে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা নভজ্যোত যে নিজে মুখ্যমন্ত্রী হতে চান, এই বিষয়টি আর গোপন নেই। এই আবহে যদি চান্নিকে বেছে নেওয়া হয়, তাহলে তিনি কী করবেন? সিধু টুইটে এই প্রসঙ্গে দাবি করেন, ‘সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ করা ছাড়া কখনও কোনও কিছু অর্জন করা যায়নি... আমাদের নেতা রাহুলজিকে উষ্ণ স্বাগত জানাই। তিনি পঞ্জাবকে স্বচ্ছতা দিতে এসেছেন... সবাই তাঁর সিদ্ধান্ত মেনে চলবেন।’
এর আগে সিধু মুখ্যমন্ত্রিত্ব প্রসঙ্গে গতকাল বলেছিলেন, ‘নির্বাচিত নেতার নিরঙ্কুশ ক্ষমতা থাকবে। রাজ্য একটি পিরামিডের মতো। একজন ব্যক্তি শীর্ষে উঠবেন। মনে রাখবেন, এর আগে চোরদের শীর্ষে বসানো হয়েছিল এবং রাজ্য দেউলিয়া হয়ে গিয়েছিল। একজন সৎ, দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ব্যক্তিকে মুখ্যমন্ত্রী করুন।’
সিধু নিজের স্বচ্ছতা প্রমাণ করতে বলেন, ‘আমি কি নীতি থেকে সরে এসেছি? আমি কি বাজেট বরাদ্দ থেকে সরে এসেছি? সিধু কি নিজের বালির খনি বা মদের দোকান খুললেন? আমি হয়তো একমাত্র ব্যক্তি যার আয় কোটিতে কমেছে। তবে আমি সন্তুষ্ট।’ এদিকে সিধু অভিযোগ করেছেন যে ৬০ জন বিধায়ক এবার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তাঁদের নিয়ে আলোচনা হচ্ছে না। তাঁর দাবি, সরকার গঠনের রাস্তার মানচিত্র সম্পর্কে কেউ কথাই বলছেন না।