কীসের মন্ত্রে পঞ্জাবে বাজিমাত করল কেজরিওয়ালের আপ? এই প্রশ্নটা উঠছে বার বার। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ভগবন্ত মান আর অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জুটি অসাধ্য সাধন করল পঞ্জাবে। ১১৭টি আসনের মধ্যে ৯২টি আসন আপের দখলে। প্রাপ্ত ভোট ৪২.৫ শতাংশ। প্রাক্তন সিএম প্রকাশ সিং বাদল. চরণজিৎ সিং চান্নি, ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং, কংগ্রেস সভাপতি নভোজৎ সিং সিধু সহ একঝাঁক হেভিওয়েট নেতা কার্যত কুপোকাত। তাৎপর্যপূর্ণভাবে অতি সাধারণ প্রার্থীদের কাছে হেরে গিয়েছেন তাঁরা।
এদিকে এবার প্রচারে নেমেই আপ স্লোগান তুলেছিল, একবার কেজরিওয়াল আর ভগবন্ত মানকে সুযোগ দিন। আর সেই সুযোগই এবার তাঁদের হাতে তুলে দিল পঞ্জাব। যে দল দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে জন্ম নিয়েছিল ভারতের রাজনীতিতে, সেই দলই ক্ষমতায় এল পঞ্জাবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, যাবতীয় দুর্নীতিকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে চেয়েছেন সাধারণ মানুষ। আর তার জেরে প্রার্থী যেই হোন ঝাড়ুকেই সমর্থন করেছেন তাঁরা।
পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আশুতোষ কুমার জানিয়েছেন, আকালি ও কংগ্রেসকে একটা বড় শিক্ষা দিতে চেয়েছেন সাধারণ মানুষ। অন্যদিকে অনেকের মতে, দিল্লিতে দিনের পর দিন কৃষক আন্দোলন করতে গিয়ে সেখানকার পরিবেশ সম্পর্কে জেনেছিলেন কৃষক নেতারা। আর দিল্লি মডেলকে পঞ্জাবে আনতে চেয়েছিলেন তাঁদের অনেকেই। দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী বলেন, দিল্লি মডেল দেখে আকর্ষিত হয়েছিলেন ভোটাররা। মূলত শিক্ষা , স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে দিল্লির উন্নতি ভালো লেগেছিল ভোটারদের।