পঞ্জাবের অমৃতসর পূর্ব আসন। দুজনেই ছিলেন হেভিওয়েট প্রার্থী। কংগ্রসের প্রার্থী ছিলেন নভজোৎ সিং সিধু। আর শিরোমণি দলের নেতা বিক্রম সিং মাজিথিয়া। তবে দুজনকেই পেছনে ফেলে কঠিন লড়াই জিতে গেলেন আপ প্রার্থী জীবন জ্যোত কাউর।সিধুর সঙ্গে তাঁর ব্যবধান ৬,৬১৩ ভোট। নিতান্তই এক অতি সাধারণ মহিলা সমাজকর্মীর কাছে হেরে গেলেন সিধুর মতো প্রভাবশালী কংগ্রেস নেতা। বিজয়ী প্রার্থী বলেন, প্রচারে বেরিয়েই বুঝতে পারছিলাম আপের জন্য মন তৈরি করে নিয়েছেন বাসিন্দারা। যখন প্রচারে বের হতাম তখন ভোটাররা বলতেন, বাড়িতে ঘুমিয়ে থাকুন। তখনই বুঝে গিয়েছিলাম আমি জিতে গিয়েছি। আসলে চিরাচরিত দলগুলিকে পছন্দ করছে না সাধারণ মানুষ।
৫০এর কোঠায় বয়স তাঁর। আপের স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে ২০১৫ সালে রাজনীতির জীবন শুরু করেন। আর ২০২২য়ে বাজিমাত। এদিকে ২০১৭ সালে সিধু তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে ৪২,৮০৯ ভোটে হারিয়ে দিয়েছিলেন। আর এবার একেবারে কুপোকাত। আর শিরোমণি দলের নেতা বিক্রম সিং মাজিথিয়া আবার দলের সভাপতি সুখবীর সিং বাদলের শ্যালক। তিনিও টিকে থাকতে পারলেন না আপের ঝড়ে।
এদিকে কৌরের মিছিলে ভিড়ও হত না বিশেষ। বাড়ি বাড়ি প্রচারেই জোর দিতেন তিনি। সিধুর পোস্টারের ভিড়ে তাঁর পোস্টার বিশেষ চোখেও পড়ত না। কিন্তু পাশের বাড়ির মেয়ের ইমেজটাই এগিয়ে দিয়েছিল তাঁকে। এর সঙ্গেই এলাকায় সংকল্পপত্র ছড়িয়ে তিনি আগামী দিনের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরতেন তিনি। আর কাজ দিয়েছিল তাতেই। একরকম লো প্রোফাইল মহিলা সমাজকর্মীর কাছেই গো হারা হারলেন সিধু।