বিধানসভা উপনির্বাচনে চারে ৪ পেয়েছে তৃণমূল। সবুজ সুনামিতে ধুয়ে মুছে সাফ বিজেপি। বিজেপির দখলে থাকা তিনটি আসনেও বিরাট পরাজয় বিজেপির। এবার এনিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
মমতা বলেন, 'চারটে আসনের মধ্যে তিনটি আসন ছিল বিজেপির। লোকসভাতেও ছিল বিধানসভাতেও ছিল। আমরা তিনটিতে জিতেছি। আর আমাদেরটাতেও জিতেছি। মানে আউট অফ ফোর- ফোর। আমি এজন্য সকলকে কৃতজ্ঞতা, প্রণাম…জোহার জানাচ্ছি। আজ মানুষের জয়। আবার নতুন করে সামাজিক দায়বদ্ধতা মানুষের প্রতি, সমাজ সংস্কার, সমাজের জাগরণ, বাংলার অস্তিত্ব রক্ষায়, বাংলার মানুষের অস্তিত্ব রক্ষায়, বাংলায় যারা থাকেন তাদের অস্তিত্ব রক্ষায় শান্তি সংহতি সব কিছুকে নিয়ে আগামীদিনে কাজ করব। লোকসভা নির্বাচনের জয় ও বিধানসভা নির্বাচনের জয় সবটাই উৎসর্গ করব ২১শে জুলাই। নো আইডি নো ভোট এই লড়াইয়ের ডাক দিয়েছিলেন, তাঁদেরকে মনে রেখে গণতান্ত্রিক ধারাকে সম্মান জানিয়ে… অনেক চক্রান্ত সত্ত্বেও মানুষ তো ভোটটা দিচ্ছেন।' বললেন মমতা।
বাস্তবিকই জয়ের ধারে কাছে থাকতে পারেনি বিজেপি। ১৩ বছর পরে বাগদাও চলে গেল তৃণমূলের কাছে। এটা বিজেপির কাছে বিরাট ধাক্কা। কার্যত সিএএ লাগু করার নাম করে মতুয়া ভোটকে এককাট্টা করার চেষ্টা করেছিল বিজেপি। কিন্তু বাস্তবে সেসব হল না।
এদিকে মানিকতলায় সুপ্তি পান্ডের জয় ছিল কেবল সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু সেটা যে একেবারে ৫০ হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধানে হবে সেটা মনে হয় মানিকতলার তৃণমূল কর্মীরাও বুঝতে পারেনি।
বরাবরের কংগ্রেসের গড় বলে পরিচিত রায়গঞ্জ। পরবর্তীতে সেখানে লোকসভা ভোটে ভালো ফল করেছিল বিজেপি। কিন্তু বিধানসভা উপনির্বাচনে কুপোকাত গেরুয়া।
এদিকে এবার দেখা গিয়েছিল লোকসভা ভোটে শহরাঞ্চলে বিজেপি ভালো ফল করেছে। কিন্তু উপনির্বাচনে সেসব ধোপে টিকল না। তবে মানিকতলার ক্ষেত্রে বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে জানিয়েছেন, কারচুপি করে জিতেছে তৃণমূল। এটা আগেই বলেছিলাম। এখানে তো খেলাটাই হল না।
বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, কেন রাজ্য জুড়ে এমন ফল হল তা খতিয়ে দেখা হবে। তবে বরাবরই দেখা গিয়েছে যে যারা ক্ষমতায় থাকে তারাই উপনির্বাচনে জয়ী হয়। কেন এই ফলাফল হল তা পর্যালোচনা করে দেখা হবে।
তবে যেভাবে বিজেপি জেতা আসন ধরে রাখতে পারল না, যেভাবে একের পর এক আসন হাতছাড়া হল তা নিয়ে আরও হতাশ বিজেপি শিবির। বাংলায় আরও কোণঠাসা হল শুভেন্দু-সুকান্ত ব্রিগেড।