শ্রুতি তোমার
নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা। কিংবা যত দোষ নন্দ ঘোষ। বাংলায় এমন প্রবাদ আছে। আর এবার কংগ্রেস তাদের হারের পেছনে ইভিএমকেই কাঠগড়ায় তুলল। মধ্য়প্রদেশের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কমল নাথ সহ তাবড় কংগ্রেস নেতার দাবি, কংগ্রেসের পরাজয়ের পেছনে ইভিএমের কারচুপিটা দায়ী। দলের নেতা কর্মীদের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠকের পরে এটাই সিদ্ধান্ত দলের।
কমল নাথের দাবি, অন্তত ১০০টি ইভিএম মিলেছে যেখানে বিজেপি সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছে। আর সেই মেশিনগুলোতে ৯৯ শতাংশ চার্জ দেওয়া ছিল। কিন্তু ভোট যেখানে ১০ ঘণ্টা ধরে হবে সেই মেশিনগুলি কেন ৯৯ শতাংশ চার্জ দেওয়া ছিল? সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, একাধিক কংগ্রেস নেতা তাদের নিজেদের গ্রামে ৫০টি ভোটও পাননি। এটা কীভাবে সম্ভব? আসলে ইভিএমে ট্য়াম্পার করা হয়েছিল বিজেপিকে সহায়তা করার জন্য।
মিটিংয়ের পরে কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং জানিয়েছিলেন, আমরা ইভিএমে বোতাম টিপলাম। কিন্তু ভোটাটা কোথায় গেল জানতেই পারলাম না। আর ভিভিপ্যাটে ৭ সেকেন্ড মাত্র দেখানো হয়। আসল কথাটা হল যে মেশিনে চিপ থাকবে সেখানে হ্যাক করা সম্ভব।
সেই সঙ্গেই এক্সিট পোল নিয়ে তিনি বলেন, আসলে জয়ের পরিবেশ তৈরির জন্য় এসব করা হয়েছিল। তবে কিছুক্ষেত্রে কংগ্রেসের জয় হবে বলে বলা হয়েছিল।
কমল নাথ জানিয়েছেন, সমস্ত প্রার্থীরা, বিধায়করা ভোটের ফলাফল পর্য়ালোচনা করবেন। কেন জিতলেন, কেন হারলেন সেটা দেখবেন। অনেক প্রার্থী বলছেন পঞ্চম রাউন্ড থেকে ফলাফল ঘুরতে থাকে। প্রশাসনের চাপে এসব করা হয়েছে।
১৯৭৭ সালের ঘটনা তুলে ধরে তিনি। কমল নাথ বলেন, সেই সময় সোনিয়া গান্ধী, ইন্দিরা গান্ধী, সঞ্জয় গান্ধীও পরাজিত হয়েছিলেন। গোটা পরিস্থিতি কংগ্রেসের বিরুদ্ধে চলে গিয়েছিল। কিন্তু তারপরেও আমরা জিতে যাই। কংগ্রেস ৩০০ আসন নিয়ে ফিরে আসে। আগামী লোকসভা ভোটের জন্য় তিনি তৈরি হওয়ার জন্য কংগ্রেস কর্মীদের আহ্বান করেন।
এদিকে তিনি পদত্যাগ করবেন বলে জল্পনা ছড়িয়েছিল। সেটা উড়িয়ে দিয়ে কমল নাথ বলেন, গোটা রাজ্যে সফরে বের হব। কর্মীদের সঙ্গে দেখা করব।