যতদিন না ইলেকটরাল বন্ডের বৈধতা নিয়ে শুনানি না হচ্ছে, ততদিন সেটির বিক্রি বন্ধ রাখা উচিত কিনা, সেই সংক্রান্ত মামলা শুনবে সুপ্রিম কোর্ট। আগামী সপ্তাহে বুধবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে।
আগামী ১ এপ্রিল থেকে নির্বাচনী বন্ড বিক্রির প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে।কিন্তু ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ সহ ৪ রাজ্য ও পুদুচেরিতে নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচনী বন্ড বিক্রির প্রক্রিয়া যাতে বন্ধ থাকে, সেজন্য শীর্ষ আদালতে আবেদন জানায় অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিভ রিফর্ম।এদিন শীর্ষ আদালতে সংগঠনের তরফে আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।মামলাকারীর আইনজীবীর এই আবেদন পেশের পর প্রধান বিচারপতি জানান, আদালত এই মামলা শুনবে। আগামী সপ্তাহে হবে এই মামলাটির শুনানি। এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রের তরফে সলিসেটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, আগামী সপ্তাহে শুনানি হোক। কেন্দ্রের তাতে কোনও আপত্তি নেই।
এদিন মামলাকারীর তরফে আদালতের কাছে আর্জি জানানো হয়, যেহেতু এখন এই ৫ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত এলাকায় ভোট প্রক্রিয়া চলছে, তাই এই সময় নির্বাচনী বন্ড বিক্রি হলে এই সব রাজ্যে ভুয়ো কোম্পানি তৈরি করে বেআইনিভাবে আর্থিক লেনদেন হতে পারে। তাই এই সময় নতুন এই প্রক্রিয়া যেন বন্ধ রাখা হয়। পাশাপাশি মামলাকারীর তরফে আদালতকে জানানো হয়েছে, নতুন এই নির্বাচনী বন্ড বিক্রির প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার অভাব আছে। কেন্দ্র যে অর্থ বিল পাশ করিয়েছে তাতে রাজনৈতিক দলগুলিকে কর্পোরেটদের কাছ থেকে অনুদান নেওয়ার রাস্তা খুলে দিয়েছে। এর আগে ২০১৯ সালে মার্চ ও নভেম্বরে সংগঠনের তরফে আদালতের কাছে একই আবেদন করা হয়। তখন তা শীর্ষ আদালতে গৃহীত হয়নি। এরইমধ্যে শীর্ষ আদালত অন্তর্বর্তী রায় দিয়ে জানায়, রাজনৈতিক দলগুলি যেন নির্বাচন কমিশনকে খামবন্দি অবস্থায় জানায়, কত টাকা তারা ডোনেশন বাবদ পেয়েছে। এরপর গত ৯ মার্চ নতুন আবেদনপত্র দাখিল করে শীর্ষ আদালতকে জানানো হয়, ২০১৭—১৮ ও ২০১৮–১৯ অর্থবর্ষে শাসক দল নির্বাচনী বন্ডের ৬০ শতাংশ বন্ড পেয়েছে।