দলের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, দলের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল, মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা, গান্ধী পরিবার... কর্ণাটকের বিধানসভা নির্বাচনে জিতে সবাইকেই ধন্যবাদ জ্ঞাপন করলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। তবে তাঁর মুখে শোনা যায়নি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমারের নাম। উল্লেখ্য, কর্ণাটকে বহু আগে থেকেই কংগ্রেসের এই দুই নেতার অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছিল। তবে ভোটে একজোট হয়ে লড়েন তাঁরা। আজ ভোটে জিতেও শিবকুমার ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছিলেন সিদ্দারামাইয়ার। তবে সিদ্দারামাইয়ার মুখে শোনা গেল না শিবকুমারের নাম। আর তা থেকেই জল্পনা রাজনৈতিক মহলে। দল জিততেই এই বুঝি দুই নেতার দ্বন্দ্ব ফের একবার প্রকাশ্যে চলে এল।
এককালে জেডিএস-এর শীর্ষ স্থানীয় নেতা ছিলেন সিদ্দারামাইয়া। কর্ণাটকের দলিতদের অন্যতম 'মুখ' তিনি। এইচডি দেবেগৌড়ার সঙ্গে সংঘাতের কারণে পরবর্তীতে জেডিএস ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন সিদ্দারামাইয়া। কর্ণাটকের রাজনীতিতে বিগত ৪ দশক ধরে বিধায়ক থেকেছেন তিনি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। তবে গতবার জেডিএস-এর সঙ্গে জোটের কারণে মুখ্যমন্ত্রী হওয়া হয়নি তাঁর। যদিও ২০১৯ সালে সরকার ভাঙার পর বিধানসভার প্রধান বিরোধী দলনেতা ছিলেন তিনিই। এই সবকিছুর মাঝেই কর্ণাটকের রাজনীতিতে উত্থান হয় ডিকে শিবকুমারের। তিনি দলের প্রদেশ সভাপতি নিযুক্ত হন। সিদ্দারামাইয়ার সঙ্গে অবশ্য শিবকুমারের দ্বন্দ্ব অস্বস্তিতে ফেলে দলকে। যদিও সেই দ্বন্দ্ব দূরে সরিয়ে রেখেই রাজ্যে ভোটে লড়ে হাত শিবির। সেই ভোটে বড় জয় এসেছে। এরপর সংবাদ সম্মেলন করে মোদী-শাহকে আক্রমণ শানান সিদ্দারামাইয়া। পাশাপাশি তিনি বলেন, 'আশা করি যে আগামীতে রাহুল গান্ধী দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন।'
সিদ্দারামাইয়া বলেন, 'এই নির্বাচনের ফলাফল লোকসভা নির্বাচনের জয়ের দিকে একটি ধাপ। আমি আশা করি সমস্ত অ-বিজেপি দলগুলি একত্রিত হবে এবং বিজেপির হার নিশ্চিত করবে তারা। আমি এও আশা করি যে রাহুল গান্ধী দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন।' এদিকে তিনি মোদী, শাহকে আক্রমণ শানিয়েছেন আজ। বলেন, 'এই ফলাফল নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ এবং জেপি নড্ডার বিরুদ্ধে মানুষের জনমত। প্রধানমন্ত্রী ২০ বার কর্ণাটকে এসেছেন; অতীতে কোনও প্রধানমন্ত্রী এভাবে প্রচার করেননি।' সিদ্দারামাইয়া আরও বলেন, 'কর্ণাটকের মানুষ পরিবর্তন চেয়েছিল কারণ তারা বিজেপি সরকারের প্রতি বিরক্ত। 'অপারেশন কমল'-এর মাধ্যমে বিজেপি অনেক টাকা খরচ করেছে। রাহুলজির পদযাত্রা দলের কর্মীদের উৎসাহিত করতে সাহায্য করেছিল।'