বয়স হয়েছে। কর্ণাটকের নির্বাচনী প্রচারে যখন উত্তাপ বেড়েছে, তখন তাঁকে দেখা যায়নি ময়দানে। এই তাঁকে আবার 'বিষকন্যা' আখ্যা দিয়ে আক্রমণ শানিয়েছিলেন বিজেপি বিধায়ক। তিনি সোনিয়া গান্ধী। কংগ্রেসের সভাপতি পদে কাটিয়েছেন দুই দশক। এহেন সোনিয়ায় প্রচারের শেষ লগ্নে ময়দানে নামলেন কর্ণাটকে। এবং নেমেই বিজেপিকে 'অলআউট' আক্রমণ শানালেন তিনি। অভিযোগ করলেন, বিজেপি মানুষের মধ্যে হিংসা ও ঘৃণা ছড়াচ্ছে। পাশাপাশি তিনি এও অভিযোগ করেন, কর্ণাটকে উন্নয়ন আনতে ব্যর্থ হবে বিজেপি।
এদিকে বিগত তিনবছর ধরে কোনও জনসভায় দেখা যায়নি সোনিয়া গান্ধীকে। দলের বৈঠকে মোটামুটি সক্রিয় থাকলেও জনসমক্ষে বক্তৃতা দিতে তাঁকে আর শোনা যাচ্ছিল না। মাঝে অসুস্থতার কারণে বেশ কয়েকবার হাসপাতালেও দিন কেটেছে তাঁর। শেষবার তিনি জনসভায় বক্তৃতা রেখেছিলেন ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে। দিল্লির রামলীলা ময়দানে। এর দীর্ঘ তিনবছর পর নিজের অঘোষিত অবসর ভেঙে কর্ণাটকের হুবলিতে জনসভা করলেন সোনিয়া। এদিনের জনসভা থেকে 'ভারত জোড়ো যাত্রা'র উল্লেখ করতে শোনা যায় সোনিয়াকে। নিজের ছেলের এই পদযাত্রা নিয়ে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতিকে বলতে শোনা যায়, 'ভারত জোড়ো যাত্রা সেই সব মানুষদের বিরুদ্ধে ছিল যারা বিদ্বেষ ছড়ায়। এই ধরনের মানুষ কোনও ভাবেই কর্ণাটকে উন্নয়ন আনতে পারবে না।'
সোনিয়া গান্ধী অভিযোগ করেন, কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী সরকার এবং রাজ্যে বাসবরাজ বোম্মাই সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না তাই তারা সাধারণ মানুষের প্রশ্নের জবাবও দেয় না। তিনি বলেন, 'বিজেপি ভাবে যে গণতন্ত্র তাদের পকেটে। গণতন্ত্র কি এভাবে কাজ করে নাকি?' সোনিয়া আরও বলেন, 'এই লুট, মিথ্যা এবং বিদ্বেষমূলক বিজেপি সরকারকে না সরালে কর্ণাটক এগোতে পারবে না, দেশ এগোতে পারবে না। এই মানুষরা খুলে আম হুমকি দেয় যে বিজেপি যদি এই রাজ্যে না জেতে, তাহলে এখানকার মানুষদের বঞ্চিত করা হবে। আমি তাদের বলতে চাই, কর্ণাটকের মানুষ এত ভীতু বা লোভী নয়।' এদিকে সোনিয়া গান্ধী কর্ণাটকে এই প্রথম পা রাখলেও তাঁর দুই সন্তান রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা বারংবার রাজ্যে পা রেখেছেন। রাহুল গান্ধী এই রাজ্যে মোট ১৭টি জনসভা বা মিছিল করেছেন। এদিকে প্রিয়াঙ্কা তার থেকেও বেশি সংখ্যকবার কর্ণাটকে সভা করেছেন - ১৯। আগামী ১০ মে এই রাজ্যের ২২৪টি বিধানসভা আসনে ভোটগ্রহণ হবে। ভোটগণনা হবে ১৩ মে।