২০২২ বিধানসভা ভোট ঘিরে ইতিমধ্যেই অনেকটা পথ পেরিয়ে এসেছে ভোটগ্রহণ পর্ব। দেশের ৫ রাজ্যে ভোট গ্রহণ পর্বের শুরুটা হয়েছিল ১০ ফেব্রুয়ারি। ইতিমধ্যেই গোয়া,পঞ্জাব, উত্তরাখণ্ডে সম্পন্ন হয়েছে ভোট গ্রহণ পর্ব। উত্তরপ্রদেশে তৃতীয় দফার ভোট সবে শেষ হয়েছে। মনিপুর এখনও ভোটমুখী। এদিকে, সাত দফার উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা ভোট ঘিরে তুঙ্গে রয়েছে রাজনৈতিক উত্তেজনা। এমন এক পরিস্থিতিতে তাঁর সংসদীয় ক্ষেত্র রায়বরেলির জনতার উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন সনিয়া গান্ধী।
কেন্দ্র ও উত্তরপ্রদেশের সরকারকে একযোগে তোপ দেগে রায়বরেলির সাংসদ সনিয়া গান্ধী বলেন,'লকডাউনের সময় আপনাদের ব্যবসা বন্ধ হয়েছিল। মাইলের পর মাইল হাঁটার যন্ত্রণা আপনারা বুঝে ছিলেন। তবে যোগী-মোদী সরকার দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো ব্যবহার করেছিল। আপনাদের যন্ত্রণা সত্ত্বেও তারা মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছিল বন্ধ করেছিল চোখ। সরকার আপনাদের ত্রাণ দেয়নি।' উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশে এখনও বাকি বেশ কয়েক দফার ভোট। আর সেই উত্তরপ্রদেশের সাংসদ সনিয়া গান্ধী। ফলে কংগ্রেসের অন্তবর্তীকালীন সভানেত্রী একচুলও জমি ছাড়েননি মোদী ও যোগীকে আক্রমণ করা থেকে। সোমবারের ভার্চুয়াল সভায় কংগ্রেসের নেত্রী যোগী ও মোদীর বিরুদ্ধে কৃষক বিক্ষোভ, তেলের দাম বৃদ্ধি ও মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে বক্তব্য রাখেন।
সোনিয়ার ভাষণে এদিন বারবার জায়গা করে নিয়েছে উত্তরপ্রদেশে যোগী সরকারের অবস্থান। সোনিয়া তাঁর ভাষণে বলেন, 'এই নির্বাচন আপনাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গত পাঁচ বছরে এই সরকার বিভেদ তৈরি ছাড়া আর কিছু করেনি। অনেক কষ্ট করে কৃষকরা ফসল উৎপণ্ণ করেন। আপনাদের সারের দাম দেওয়া হয় না, সারও দেওয়া হয় না। সেচের জলও পাননা আপনারা।' একই সঙ্গে যুব সমাজের ক্ষেত্রে বিজেপির সরকার কোন দিকগুলি করতে পারেনি তা নিয়েও তোপ দাগেন সোনিয়া। সনিয়া বলেন, যুব সমাজ পড়ে ও চাকরির চেষ্টা করে, তবে বিজেপি সরকার তাদের ঘরে বসিয়ে রেখেছে। তিনি বলেন উত্তরপ্রদেশে ১২ লাখ সরকারি চাকরির পদ শূন্য রয়েছে। তবে তাতেও কর্মসংস্থান হচ্ছে না রাজ্যে। উল্লেখ্য, ২৩ ফেব্রুয়ারি উত্তরপ্রদেশে চতুর্থ দফার ভোটপর্ব রয়েছে। সেদিন ভোটদান হবে রায়বরেলিতেও। তার আগে এলাকার সাংসদ হিসাবে সোনিয়া বক্তব্য রাখেবন রায়বরেলিবাসীর কাছে।