২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন জেতার পরই ত্রিপুরার দিকে নজর পড়েছিল তৃণমূলের। সেই রাজ্যের পুরভোটে বিজেপিকে টেক্কা দিতে ঝাঁপিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেরাজ্যে গিয়ে প্রচার করেছিলেন দলের হয়ে। তবে সেরাজ্যের ৬০টি আসনে মাত্র ২৮টিতেই প্রার্থী দিয়েছিল ঘাসফুল শিবির। এই আবহে টিলার রাজ্যে তৃণমূলের থেকে ভালো ফলের প্রত্যাশা করছিল না তৃণমূল নিজেও। তাও একটি আসনে কিছুক্ষণের জন্য এগিয়ে গিয়েছিল জোড়াফুল। তবে অবশেষে তৃণমূলকে শূন্য হাতেই ফিরতে হচ্ছে ত্রিপুরা থেকে। এই আবহে পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী 'তোলামূল' বলে আখ্যা দিয়ে তোপ দেগেছে তৃণমূলকে। (আরও পড়ুন: বসিরহাটের স্মৃতি ফেরাল সাগরদিঘি, ক'বছর পর বাংলায় কোনও উপনির্বাচনে হারল তৃণমূল?)
আজ ত্রিপুরায় তৃণমূলের ফল নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘মা ত্রিপুরেশ্বরীর আশীর্বাদে ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচনে নোটার কাছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে পরাজিত হল সর্বভারতীয় তোলামূল পার্টি।’ এদিকে ঘাসফুলকে আজ আক্রমণ শানান ত্রিপুরা বিজেপির সহ সভাপতি রথীন্দ্র বোসও। তিনি মমতার দলকে আক্রমণ শানিয়ে টুইট করে লেখেন, ‘ত্রিপুরায় নোটার থেকেও কম ভোট পাওয়ার জন্য তৃণমূলকে নৈতিক জয়ের শুভেচ্ছা। মনে হচ্ছে প্রার্থীরা নিজেরাও তৃণমূলকে ভোট দেয়নি। সমবেদনা জানাতে একটি ফুটবল ও হুইল চেয়ার দিতে হবে।’ (আরও পড়ুন: ১৯৭২ সালের পর ২০২৩, দীর্ঘ পাঁচ দশক পর ফের একবার কংগ্রেসের দখলে সাগরদিঘি)
উল্লেখ্য, মাত্র ৩৯ শতাংশ ভোট পেয়েই ত্রিপুরা দখল করল বিজেপি। সিপিএম পেয়েছে ২৪.৬ শতাংশ ভোট। কংগ্রেসের ঝুলিতে গিয়েছে ৮.৬ শতাংশ ভোট। তৃণমূল পেয়েছে ০.৮৮ শতাংশ। নোটায় ভোট পড়েছে ১.৩৬ শতাংশ। ত্রিপুরায় বিজেপি ৩২টি আসনে জিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করেছে। এদিকে তাদের জোটসঙ্গী আইপিএফটি জিতেছে মাত্র একটি আসনে। এদিকে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করা সিপিএম এবার জিতেছে ১১টি আসনে। কংগ্রেস পেয়েছে তিনটি আসন। তিপ্রা মোথা জিতেছে ১৩টি আসনে।