নভেম্বরেই জোটের ঘোষণা করে দিয়েছিল এআইএডিএমকে। কিন্তু এতদিন জোটের বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছিল বিজেপি। অবশেষে শনিবার বিজেপির সর্বভারতীয় জে পি নড্ডা জানালেন, তামিলনাড়ু বিধানসভা নির্বাচনে একসঙ্গে লড়বে বিজেপি এবং শাসক দল এআইএডিএমকে।
সপ্তাহান্তে তামিলনাড়ু সফরে গিয়ে মাদুরাইয়ে জনসভায় নড্ডা বলেন, ‘আগামিদিনের নির্বাচনগুলিতে এআইএডিএমকে এবং একই নীতির দলগুলির সঙ্গে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি।’ যিনি ভোটের আগে রাজ্যবাসীর ভাবাবেগ উস্কে একেবারে তামিল পোশাক পরেছিলেন।
২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনেও একসঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল বিজেপি এবং এআইএডিএমকে। তার রেশ ধরে গত নভেম্বরে এআইএডিএমকে জানিয়েছিল, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে জোট থাকবে। মুখ্যমন্ত্রীর পদপ্রার্থী হিসেবে কে পলানিস্বামীর নামও ঘোষণা করা হয়। সেই সময় আবার একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধনে চেন্নাইয়ে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কিন্তু এআইএডিএমকের সেই ঘোষণা নিয়ে গেরুয়া শিবিরের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তার ফলে রাজ্যস্তরে চাপানউতোর শুরু হয়। যদিও চাপের মুখে এআইএডিএমকের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে দাবি করা হয়, জাতীয় দল হওয়ার কারণে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে জোটের ঘোষণা করা হবে। তার ফলে চলতি মাসে তামিলনাড়ুতে নিজের দ্বিতীয সফরেই নড্ডা জোটের ঘোষণা করতে পারেন বলে জল্পনা ছড়িয়েছিল। সেই পথেই হেঁটেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি।
রাজনৈতিক মহলের মতে, দক্ষিণ ভারতের রাজ্যে নিজেদের সংগঠন মজবুত করার জন্য এআইএডিএমকের সঙ্গে বিজেপির জোট প্রত্যাশিত ছিল। ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে দেশে গেরুয়া ঝড় উঠলেও গত লোকসভা নির্বাচনে তামিলনাড়ুতে ধাক্কা খেয়েছিল বিজেপি। ৩৯ টির মধ্যে ৩৮ লোকসভা আসনে জিতেছিল ডিএমকে। তবে প্রয়াত জয়ললিতা-আবেগ এবং ‘ভালো’ কাজের উপর ভিত্তি করে রাজ্যে টানা তৃতীয়বার কুর্সি দখলের বিষয়ে আশাবাদী এআইএডিএমকে। তারইমধ্যে এআইএডিএমকের নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের আসন বণ্টন নিয়ে দড়ি টানাটানি শুরু হয়েছে। ২০১১ সালের মতো ৪১ আসন চেয়েছে ডিএমডিকে।