ভোট গণনাকেন্দ্রে উপস্থিত থাকতে হলে প্রার্থী এবং এজেন্টদের কাছে থাকতে হবে করোনা ভাইরাসের আরটি-পিসিআর টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট। এমনই নির্দেশ দিলেন তামিলনাড়ুর মুখ্য নির্বাচক কমিশনার সত্যব্রত সাহু। গত ৬ এপ্রিল সেরাজ্যে ভোট গ্রহণ পর্ব সম্পন্ন হয় এক দফাতেই। এদিকে ইতিমধ্যেই আগামী ২ মে পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগণনার দিন বা তার পরে বিজয় মিছিলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
উল্লেখ্য, কোভিডের সংক্রমণ নিয়ে মাদ্রাজ হাইকোর্টের তোপের মুখে পড়তে হয়েছিল নির্বাচন কমিশনকে। সেই ভর্ত্সনার পরই তত্পর হয় নির্বাচন কমিশন।
২৭ মার্চ থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ে পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, তামিলনাড়ু, অসম ও পুদুচেরিতে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলায় এখনও এক দফা ভোট গ্রহণ বাকি। আগামী ২ মে এই পাঁচ রাজ্যেরই ভোটগণনা। তবে করোনার কথা মাথায় রেখে গণনা পরবর্তী বিজয় মিছিলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
ভোটের ফল ঘোষণার পর বিজয়ী দলের মিছিল করা, বাজি ফাটানো, আবির ওড়ানোর চল রয়েছে। তবে করোনা আবহে সেই জমায়েত থেকে কোভিডের সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে। তাই কারণে ফল ঘোষণার দিন বা তার পরে যাবতীয় বিজয় মিছিলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন।
উল্লেখ্য, দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের বাড়-বাড়ন্তের জন্য গতকাল নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করে তীব্র ভাষায় তোপ দাগেন মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞঅজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। আদালত বলে, গত কয়েক মাস ধরে কোভিড প্রোটোকল না-মেনে প্রচার চালিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি, যা থামানো উচিত ছিল কমিশনের। তবে কমিশন কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। এই প্রেক্ষিতে কমিশনের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রয়োজনে ২ মে গণনা বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দেয় আদালত। আর মাদ্রাজ হাইকোর্টের এই তীব্র কটাক্ষের পর আজ কড়া পদক্ষেপের পথে নির্বাচন কমিশন।