এখানে এভাবে দাঁড়িয়ে আছেন কেন? দেখছেন না এখানে বিরোধীরা কেউ নেই। এটা তো বুঝতে হবে আপনাদের। সিতাই বিধানসভার উপনির্বাচনে গোসিনামারির একটি বুথের সামনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানকে দেখেই প্রশ্ন কোচবিহারের তৃণমূল সাংসদ জগদীশ বর্মা বসুনিয়া।
আর সিতাইয়ের সেই বুথের ভেতর বিজেপির পোলিং এজেন্টকে দেখে রীতিমতো সময় বেঁধে দিলেন দিনহাটার তৃণমূল নেতা। তৃণমূল সাংসদ, প্রিসাইডিং অফিসার, কেন্দ্রীয় বাহিনীর সামনে এদিন একেবারে আঙুল তুলে, ঘড়ি দেখিয়ে হুমকি দেন তৃণমূলের এক দাপুটে নেতা।
এদিকে একটা সময় বীরভূমের অনুব্রত মণ্ডলকে এভাবে পুলিশকে হুমকি দিতে দেখা যেত। সেই ছবি দেখা গেল এবার সিতাইতে।
ওই তৃণমূল নেতাকে বলতে শোনা যায়, আধ ঘণ্টা সময় দিলাম বেরিয়ে যাও। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সামনে সিতাইতে বিজেপির পোলিং এজেন্টকে হুমকি তৃণমূল নেতার। পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে এই হুমকি দেওয়ার অভিযোগ। দিনহাটা ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ তিনি। কেন্দ্রীয় বাহিনী, প্রিসাইডিং অফিসারের সামনে একেবারে আঙুল তুলে হুমকি দিলেন তৃণমূল নেতা। একেবারে ঘড়ি দেখিয়ে তিনি হুমকি দেন, আধা ঘণ্টার মধ্যে বেরিয়ে যাও। না হলে মেরে ফেলব।
কোচবিহারের তৃণমূল সাংসদ জগদীশ বর্মা বসুনিয়ার উপস্থিতিতে চলে এই হুমকি। আধ ঘণ্টা টাইম দিলাম। তার মধ্যে বেরিয়ে যাও।
এদিকে তৃণমূল সাংসদ জগদীশ বর্মা বসুনিয়া সেই একই বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানকে বলেন, দেখছেন না এখানে বিরোধীরা কেউ নেই। এটা তো বুঝতে হবে আপনাদের।
গোটা বাংলা জুড়ে বার বারই থ্রেট কালচারের প্রসঙ্গ উঠছে। এই থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধেই গোটা বাংলা গর্জে উঠেছিল কয়েকদিন আগেই। আর সিতাইতে বুধবার উপনির্বাচনের দিন দেখা গেল সেই বহু চর্চিত থ্রেট কালচার।
একেবারে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সামনে হুমকি দেওয়া হল বিজেপির পোলিং এজেন্টকে।
এনিয়ে আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ মনোজ টিগ্গা সংবাদমাধ্যমে বলেন, ওদের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গিয়েছে। এটাই থ্রেট কালচার। একটা নতুন সংস্কৃতি আমদানি করেছে তৃণমূল। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মানুষ এটা মেনে নেবেন না। মাদারিহাটেও একই ধরনের হুমকি দেওয়া চলছে। শারীরিকভাবেও হেনস্থা করা হচ্ছে।
তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, সিতাইতে এই থ্রেট কালচার নতুন কিছু নয়। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটের সময় এই সিতাইতে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। ভোট মানেই সিতাইতে অশান্তি। যে সমস্ত জায়গায় বিজেপি কিছুটা প্রতিরোধ গড়়ে তোলার চেষ্টা করে সেখানে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ তৈরি হয়। আর যেখানে বিরোধীরা থাকেন না সেখানে শাসকের একেবারে ফাঁকা মাঠে গোল!