আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরায় ভোটগ্রহণ হতে চলেছে। এক দফায় উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যের ৬০ টি বিধানসভা আসনে ভোটগ্রহণ হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। মেঘালয় ও নাগাল্যান্ডের সঙ্গেই ত্রিপুরায় ভোটের গণনা হবে আগামী ২ মার্চ।
ত্রিপুরা বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট (Tripura Assembly Elections 2023 Dates)
১) ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচনের জন্য ২১ জানুয়ারি (শনিবার) বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হবে।
২) ৩০ জানুয়ারি (সোমবার) পর্যন্ত মনোনয়নপত্র দাখিল করা যাবে।
৩) মনোনয়নপত্র স্ক্রুনিটি হবে ৩১ জানুয়ারি (মঙ্গলবার)।
৪) মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিন ২ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার)।
৫) তারপর ১৬ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) ভোটগ্রহণ হবে ত্রিপুরায়।
৬) ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হবে ২ মার্চ (বৃহস্পতিবার)।
৭) আগামী ৪ মার্চের (শনিবার) মধ্যে পুরো ভোট প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে।
আরও পড়ুন: Election Dates Live Updates: ১৬ ফেব্রুয়ারি ভোট ত্রিপুরায়, ২৭-এ বাকি ২ রাজ্যে, ফল ২ মার্চ
ত্রিপুরায় বুথের সংখ্যা কত?
কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ত্রিপুরায় ৩,৩২৮ টি বুথে ভোটগ্রহণ হবে। শহরাঞ্চলে বুথের সংখ্যা ৭০৭। গ্রামীণ এলাকায় ২,৬২১ টি বুথে ভোট হবে। ৬০ টি বুথ পুরোপুরি পরিচালন করবেন মহিলারা। সেই বুথগুলিতে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরাও মহিলা হবেন। সেইসঙ্গে সিবিএসই স্কুলে কোনও বুথ থাকবে না বলে জানিয়েছে কমিশন।
২০১৮ সালের বিধানসভা ভোট
২৫ বছরের বাম শাসনে ইতি টেনে ২০১৮ সালে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্য ত্রিপুরা দখল করেছিল বিজেপি।২০১৮ সালের বিধানসভা ভোটে পিপলস ফ্রন্ট অফ ত্রিপুরার (আইপিএফটি) সঙ্গে জোট করে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল গেরুয়া শিবির।
নয়া বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন তরুণ নেতা বিপ্লব দেব। কিন্তু ২০২২ সালের মে'তে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ২০২৩ সালের বিধানসভা ভোটের মাত্র ১০ মাস আগে মানিক সাহাকে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসিয়েছিল বিজেপি। তবে তাঁর সামনে চ্যালেঞ্জ কম নয়। ত্রিপুরার বিজেপির অন্দরে যে গোষ্ঠীকোন্দল আছে, তার ‘চিকিৎসা’ করতে হবে ‘ডাক্তারবাবু’ মুখ্যমন্ত্রীকে।
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)