প্রিয়াঙ্কা দেব বর্মন
ত্রিপুরায় ফের ক্ষমতায় ফিরেছে বিজেপি। তবে ভোটের ফলাফল ঘোষণার দুমাস পরে সিপিএম এখন বিজেপি-আইপিএফটি জোটের ক্ষমতায় ফেরার পেছনে তিপ্রা মোথার ঘাড়ে দায় চাপিয়ে দিল। সিপিএম নেতৃত্বের দাবি, আঞ্চলিক দল হিসাবে দ্বিচারিতা করেছিল তিপ্রা মোথা। তাদের জন্যই বিজেপি আইপিএফটি সরকার দ্বিতীয়বারের জন্য ত্রিপুরায় আসার সুযোগ পেল।
এদিকে এবার ভোটের ফলাফল দেখলে দেখা যাচ্ছে বিজেপি ৩২টি আসনে জয় পেয়ে সরকার গঠন করেছে। আইপিএফটি মাত্র একটি আসন পেয়েছে। অন্যদিকে তিপ্রা মোথা পেয়েছে ১৩টি আসন। সিপিএম আর কংগ্রেস একযোগে লড়াই করে সিপিএম পেয়েছে ১১টি ও কংগ্রেস ৩টি আসন।
ত্রিপুরা হল ৬০ আসন বিশিষ্ট বিধানসভা। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সেখানে ভোট হয়। সব মিলিয়ে ভোট দানের হার ছিল ৮৯.৯৫ শতাংশ। ২.১৯ শতাংশ ভোট পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে হয়েছিল।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে ত্রিপুরায় সিপিএমের রাজ্য কমিটির মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেখানে ভোটের ফলাফল নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। এরপর সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেন, আমরা বিস্তারিতভাবে ভোটের ফলাফল পর্যালোচনা করেছি। এবারের ভোটের আমাদের পরাজয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে। আমরা সমস্ত গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে একজোট হয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়ার কথা বলেছি। অ্যান্টি বিজেপি ভোট যাতে ভাগ না হয়ে যায় সেকথা আমরা বলেছিলাম। আমাদের সঙ্গে কংগ্রেসের সমঝোতা হয়েছিল। কিন্তু তিপ্রা মোথার সঙ্গে আমাদের সমঝোতা হয়নি। আর সেই ভোট ভাগাভাগির জেরেই বিজেপি জিতে গেল।
তিনি বলেন, প্রকাশ্যে বিজেপির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছিল তিপ্রা মোথা কিন্তু ২২টি অসংরক্ষিত আসন যেখানে তাদের জেতার কোনও সম্ভাবনা ছিল না সেখানেও তারা প্রার্থী দিয়ে দিয়েছিল। আমরা কিছুতেই বুঝতে পারছিলাম না ওই আসনগুলিতে কেন তারা প্রার্থী দিল। কিন্তু ভোটের ফলাফল বের হওয়ার পরে গোটা বিষয়টি আমাদের কাছে জলের মতো পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে।
তিনি বলেন, যদি তিপ্রা মোথা বাম কংগ্রেস জোটের সঙ্গে সমঝোতা করত তবে আরও ১৬-১৭টি আসন আমরা পেতাম। তিপ্রা মোথাও বেশি আসন পেত। আর বিজেপি ৯-১১টি আসন পেয়ে বাড়ি ফিরে যেত।
তিনি বলেন, তিপ্রা মোথায় নীচুতলার কর্মীরা বিজেপির বিরুদ্ধে কিন্তু ওদের শীর্ষ নেতারা আবেগ নিয়ে খেলতে ভালোবাসেন। এদিকে বিজেপির জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে দ্রুত আন্দোলনে নামবেন বামেরা। তবে তিপ্রা মোথার বক্তব্য এখনও মেলেনি।