ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন। আর সকাল থেকেই দফায় দফায় রক্তাক্ত হল ত্রিপুরা। মারধর, ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাড়া করা, গাড়ি ভাঙচুর, বোমাবাজি বাদ থাকল না কিছুই। বাম নেতৃত্বের দাবি, রাজ্য জুড়ে একের পর এক এলাকায় সিপিএমের নেতা কর্মীদের উপর হামলা চালাচ্ছে শাসকদল বিজেপি। অনেকে জখম হয়েছেন। বাম প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্টের গাড়়িতে ভাঙচুর করা হচ্ছে। ধারালো অস্ত্র হাতে বামেদের নির্বাচনী এজেন্টকে তাড়া করেছে বিজেপি। এনিয়ে বার বার কমিশনকে জানানো হয়েছে। কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। তবে কমিশন অভিযোগ খতিয়ে দেখছে বলে জানা গিয়েছে।
ত্রিপুরার একাধিক বাম নেতৃত্বের দাবি, কোথাও পুলিশ বা কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোনও অভাব নেই। কিন্তু সবাই কেমন যেন নিষ্ক্রিয়ভাবে রয়েছে। সামনে মারধর করছে বিজেপি। কিন্তু কোথাও কোনও হেলদোল নেই।
সকাল থেকেই একের পর এক অভিযোগ। ত্রিপুরার বক্সনগরে সিপিএমের অঞ্চল সম্পাদকের উপর হামলার অভিযোগ। খয়েপুরে বাম কর্মী সমর্থকদের তাড়া করেছে বিজেপি। এমনটাই অভিযোগ। রাধাকিশোরপুরেও ভোটারদের ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। গোমতী জেলার অমরপুরে বামেদের পোলিং এজেন্টকে মেরে বের করে দেওয়ার অভিযোগ। প্রতিটি ক্ষেত্রে শাসকদল বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। তবে সবক্ষেত্রে অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।
এদিকে সিপিএমের এক নির্বাচনী এজেন্টের দাবি, গাড়িতে পাথর ছুঁড়েছে বিজেপি। কর্মীদের বেধড়ক মারধর করেছে। কিন্তু পুলিশ, কেন্দ্রীয় বাহিনী কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ভোটের নামে প্রহসন হচ্ছে ত্রিপুরায়।
এদিকে বিশালগড় এলাকায় ভোটের আগেই বোমাবাজি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এদিকে এই বোমাবাজির ঘটনায় চাপানউতোর শুরু হয়েছে। তবে সিপিএম ও বিজেপি এই অভিযোগ মানতে চায়নি। ধনপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ২৩ ও ৫৯ নম্বর বুথে ভোটারদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। তারই প্রতিবাদে ভবানীপুর,. দুর্লভপুর এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান সাধারণ ভোটাররা।
সিপিএম নেতা পবিত্র করের দাবি, নাথপাড়ার অন্তত দুটি বুথে বিজেপির লোকজন হামলা চালিয়েছে। গোটা ত্রিপুরা জুড়ে এভাবেই ভোটের দিন দফায় দফায় হিংসা ছড়ায়।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে এবার বিজেপির তাবড় নেতৃত্ব প্রতিটি সভাতেই বাম-কংগ্রেসকে নিশানা করেছিলেন। একদিকে ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া বিজেপি। অন্যদিকে বাম জমানা ফিরিয়ে আনতে ময়দানে নেমেছে সিপিএম। আর তার পরিণতিতেই দফায় দফায় হিংসা ছড়াল ত্রিপুরা জুড়ে।