সামনেই ত্রিপুরা বিধানসভা ভোট। তার আগে শুক্রবার ইস্তেহার প্রকাশ করল বামফ্রন্ট। ইস্তেহারে ২.৫ লাখ কর্মসংস্থান, গরিব বয়স্ক নাগরিকদের জন্য পেনশন, ওল্ড পেনশন স্কিমের ফের প্রচলন করা, সরকারি কর্মীদের জন্য দুবার করে ডিএ বৃদ্ধি সহ নানা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। কার্যত একেবারে প্রতিশ্রুতির ফোয়ারা। মন জয়ে সবরকম উদ্যোগ।
১৫ পাতার ইস্তেহার। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে ১০,৩২৩জন বাতিল শিক্ষককে ফের কাজে বহাল করা, অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ীকরণ, ট্রাইবাল কাউন্সিলের স্বায়ত্বশাসন আরও বৃদ্ধি করা হবে। সাংবাদিক বৈঠকে বাম আহ্বায়ক নারায়ণ কর জানিয়েছেন, ত্রিপুরায় গণতন্ত্রের গলা টিপে ধরা হয়েছে। ২০১৮ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এই প্রবনতা চলছে।
বামেদের অভিয়োগ, বিজেপি পরিচালিত সরকার সাধারণ মানুষের ভোটাধিকারও কেড়ে নিচ্ছে। এমনকী মানুষের গলার স্বরকেও দাবিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের দাবি, বামেরা ক্ষমতায় এলে রাজ্যে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা হবে। তিনি জানিয়েছেন, আমরা ২.৫ লাখ কাজের সুযোগ তৈরি করব। আগামী ৫ বছরের জন্য় এটা করা হবে। মানুষের আশীর্বাদে ক্ষমতায় ফিরলে এই উদ্যোগ নেওয়া হবে।
তিনি জানিয়েছেন, ৬০ বছরের বেশি বয়স হলে তাঁর আয় ১ লাখের কম হলে তার জন্য সোশ্যাল পেনশন থাকবে। অন্যদিকে বছরে দুবার সরকারি কর্মীদের ডিএ বৃদ্ধি করার ব্যাপারে বলা হয়েছে। এদিকে ত্রিপুরায় বর্তমানে ১,৮৮, ৪৯৪ জন সরকারি কর্মী ও পেনশনভোগী রয়েছেন।
গ্রামীণ অর্থনীতিতে চাঙা করতে ২০০দিন কাজের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। আদিবাসী কাউন্সিলের জন্য স্বায়ত্ত্বশাসন আরও বেশি করে আনার ব্যাপারেও বলা হয়েছে।
অন্যদিকে দুর্নীতিমুক্ত সরকার তৈরির ব্যাপারেও সওয়াল করা হয়েছে সিপিএমের তরফে। অন্যদিকে কংগ্রেসের সঙ্গে একযোগে কমন মিনিমাম প্রোগ্রাম করার ব্যাপারেও জানিয়েছেন সিপিএম নেতৃত্ব।
এবার ত্রিপুরায় ৪৩টি আসনে লড়াই করছে সিপিএম। শরিক দল ফরওয়ার্ড ব্লক, আরএসপি, সিপিআই একটি করে আসনে লড়াই করছে। রামনগরে এক নির্দল প্রার্থীকে সমর্থন করছে সিপিএম। আসন বোঝাপড়ার জেরে কংগ্রেস ১৩টি আসনে লড়তে নেমেছে।
আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরায় ভোট। আগামী ২ মার্চ ৬০ সদস্যের বিধানসভা ভোটের ফলাফল বের হবে। এদিকে সব দলই মাটি কামড়ে লড়াই করছে। এর আগে ত্রিপুরা বামেদের দখলেই ছিল। পরে বামেদের সরিয়ে সেখানে ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি। এবার সেই বিজেপির বিরুদ্ধে সিপিএমের জোরদার লড়াই।