সকাল থেকে ত্রিপুরায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির মধ্যে ভালো হারেই ভোটদান চলছে। বিভিন্ন বুথে বুথে লম্বা লাইন দেখা গিয়েছে। বুথে বৃদ্ধ ভোটারদের সাহায্য করতে দেখা গিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের। নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, সকাল ৯টা পর্যন্ত প্রায় ১৩.২৩ শতাংশ ভোট পড়েছে ত্রিপুরার সব আসনে। এই সবের মাঝেই বিভিন্ন জায়গায় ভোটারদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা। অভিযোগের আঙুল বিজেপির দিকে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। (ত্রিপুরা নির্বাচনের লাইভ আপডেট)
ত্রিপুরার ধনপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ভবানীপুর ও দুর্লভপুরে ভোটারদের বুথে যেতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিজেপি ভোটারদের আটকাচ্ছে বলে পথ অবরোধ করে প্রতিবাদ দেখানো হয়। পরে অবশ্য নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বাহিনীর জওয়ান ও পুলিশকর্মীরা এসে বিক্ষোব্ধ ভোটারদের বুথে নিয়ে যান। ধনপুরের পর পুরনো আগরতলার খয়েরপুর বিধানসভা কেন্দ্রের নাথপাড়া এলাকাতেয় ভোটারদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে শাসকদল বিজেপির বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ভোটারদের বুথে যাওয়া থেকে বিরত রাখতে লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়। যদিও বিজেপি অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এদিকে শান্তিবাজারেও অশান্তির অভিযোগ উঠল। বিরোধীদের মারধর এবং ভোটারদের ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে গেরুয়া শিবিরের কর্মীদরে বিরুদ্ধে। এই আবহে সেখানে বিরোধীরা পথ অবরোধ করে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে ভোটগ্রহণ চলাকালীনই। শান্তিবাজারে অশান্তি নিয়ে সরব হয়েছে বামেরা। অভিযোগ, সেই বিধানসভা কেন্দ্রের কালাছড়াতে দুই সিপিআই কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন বিজেপি কর্মীদের হাতে। উল্লেখ্য, শান্তিরবাজার নিয়ে গতকালই জাতীয় নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছিল বামেরা। ত্রিপুরায় বিরোধীদের দাবি, বিজেপি কর্মীরা আম নাগরিকদের ভোট দিতে বাধা দিচ্ছে। তবে সেই অভিযোগ অস্বীকার করে গেরুয়া শিবিরের পালটা দাবি, বাম-কংগ্রেস জোটের ক্যাডাররা অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। তবে শান্তিবাজারে সিপিআই কর্মীকে মারধরের ঘটনায় পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা রুজু করল। এক জখম বাম কর্মীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।