একই দিনে ত্রিপুরায় প্রচারে গিয়েছেন তৃণমূল ও বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। একদিকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় আগরতলায় গিয়ে জনসংযোগে নামলেন। অন্যদিকে একই দিনে ত্রিপুরায় সভা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি তাঁর বক্তব্যে এদিন সরাসরি বাম-কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন। তিপ্রা মথাকে নিশানা করেও তির ছোঁড়েন অমিত শাহ। কিন্তু একবারও তৃণমূলের নাম উচ্চারণ করলেন না অমিত শাহ। এনিয়ে ফের সামনে আসছে সেই চিরাচরিত সেটিং তত্ত্ব। প্রশ্ন উঠছে তবে কি ভোট কাটাকুটির রাজনীতিতে বিজেপিকে সুবিধা করে দিতে ত্রিপুরায় কিছু আসনে প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল? সেকারণে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখে তৃণমূল সম্পর্কে একটিও কথা নেই? এই কথাটাই সামনে আসছে এবার।
তবে এই জল্পনাকে উড়িয়ে দিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির দাবি, আসলে ত্রিপুরায় বিজেপির কোনও অস্তিত্ব নেই। সেকারণেই ত্রিপুরায় তৃণমূলের নাম উচ্চারণ করা হয়নি। যে দলের কোনও অস্তিত্ব নেই, সেই দলের সম্পর্কে বক্তব্য রাখার কোনও যুক্তি নেই।
এদিকে তৃণমূলের পালটা সাফাই, তৃণমূলের নাম নেবেন কি নেবেন না সেটা তাদের ব্যাপার। আসলে তৃণমূল যখনই ত্রিপুরায় প্রচারে গিয়েছে তখনই তৃণমূলকে আটকাতে অতীতে বার বার এগিয়ে এসেছে বিজেপি। সেকথা এদিনও উল্লেখ করেছেন নেত্রী।
এদিন শান্তিরবাজার এলাকায় সভা করেন অমিত শাহ। বিজয় সঙ্কল্প যাত্রা। সেখান থেকে বাম কংগ্রেস জোটকে চাচাছোঁলা আক্রমণ করেন অমিত শাহ। তিনি জানিয়ে দেন, উত্তরপূর্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বদ্ধপরিকর নরেন্দ্র মোদী। এর সঙ্গেই তিনি বলেন, সিপিএম ও কংগ্রেসের মধ্যে বোঝাপড়া রয়েছে। তিপরা মোথার সঙ্গেও তাদের গোপন বোঝাপড়া রয়েছে। সেকারণে আপনারা যদি তিপরা মোথা পার্টির পক্ষে ভোট দেন তবে সেটা কমিউনিস্টদের কাছে চলে যাবে। যদি আপনারা কংগ্রেসকে ভোট দেন তবে সেটাও কমিউনিস্টদের কাছে চলে যাবে। তার মানে যদি আপানারা ওদের মধ্যে কাউকে ভোট দেন তবে সেটাও চলে যাবে কমিউনিস্টদের কাছে। এর জেরে তারা সরকার গড়ার সুযোগ পাবে। যদি আপনারা যদি বিজেপিকে ফের চান তবে পদ্ম চিহ্নে ভোট দিন।উত্তরপূর্বের আরও উন্নতির জন্য তিনি বাসিন্দাদের কাছে আবেদন করেন পদ্ম চিহ্নে ভোট দিন।
তিনি বলেন, আপনারা কমিউনিস্ট জমানা দেখেছেন।আমরা কথা দিচ্ছি পরিবর্তন আনব। উত্তরপূর্বে উন্নত রাজ্য হিসাবে আমরা গড়ে তুলব ত্রিপুরাকে। জানিয়েছেন অমিত শাহ।