প্রিয়াঙ্কা দেববর্মন
এবার ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচনে ২৫৯জন ভোট লড়াই করছেন। তাঁদের মধ্যে ৪৫ জন প্রার্থীই ক্রোড়পতি। অর্থাৎ মোট প্রার্থীর ১৭ শতাংশ। তার মধ্য়ে ১৭জন বিজেপির(৩১ শতাংশ)। তিপ্রা মোথার ৯জন( ২১ শতাংশ), সাতজন সিপিএমের( ১৬ শতাংশ), কংগ্রেসের ৬জন(৪৬শতাংশ) ও তৃণমূলের চারজন(১৪ শতাংশ)।অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমক্রেটিক রাইটস অনুসারে এই খবর।
উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা, মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা, তিপ্রা মোথা নমিনি অভিনীত সরকারের কাছে সবথেকে বেশি সম্পদ রয়েছে বলে পরিসংখ্যানে উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের সম্পদের পরিমাণ যথাক্রমে ১৫ কোটি, ১৩ কোটি, ও ১২ কোটি। তাঁরা এই সম্পদের পরিমাণ হলফনামায় ঘোষণা করেছন।
নির্দল প্রার্থী হিরামণি দেববর্মা, নগেন্দ্র চন্দ্র শীল ও মৃদুল কান্তি সরকারের কাছে সবথেকে কম সম্পদ রয়েছে। তার পরিমাণ হল ৭০০ টাকা, ১২০০ টাকা ও ২০০০ টাকা।
শিক্ষাগত দিক থেকে এবার প্রার্থীরা কে কোথায় দেখা যাক! ১১৬জন গ্র্যাজুয়েট বা তার উপরে প্রার্থী রয়েছেন ত্রিপুরায়। ১৩৯জনের ক্লাস ফাইভ থেকে ক্লাস ১২ পর্যন্ত পড়াশোনার দৌড়। দুজন ডিপ্লোমা হোল্ডার। আর দুজন কেবলমাত্র স্বাক্ষর।
৬৩জন প্রার্থীর বয়স ২৫-৪০ এর মধ্যে। ১৪২জনের ৪১-৬০ এর মধ্যে বয়স। ৫৪জন ৬১-৮০ বছরের মধ্যে বয়স। ৩০জন মহিলা প্রার্থী রয়েছেন।
রিপোর্টে বলা হয়েছে এবার প্রার্থীদের গড় সম্পদের পরিমাণ ৮৬.৩৭ লাখ। গতবারে এই পরিমাণ ছিল ৪৬.৯২ লাখ।
৫৫ বিজেপি প্রার্থীর গড়ে সম্পদ ১.৮৬ কোটি, ১৩ কংগ্রেস প্রার্থীর ২.২০ কোটি, ৪৩ সিপিএম কংগ্রেস প্রার্থীর ৫৩.৯৪ লাখ, ৪২ তিপ্রা মোথা প্রার্থীর ৭৮.৫৭ লাখ।
সব মিলিয়ে ৪১জন প্রার্থীর অপরাধ সংক্রান্ত অভিযোগ রয়েছে। ২১জনের গুরুত্বপূর্ণ ক্রিমিনাল কেস রয়েছে।
এদিকে ১৬ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরায় ভোট। আগামী ২ মার্চ ভোটের ফল গণনা হবে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল মাটি কামড়ে লড়াই করছে। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা দফায় দফায় প্রচার করছেন। তৃণমূলও ঝাপিয়ে পড়েছে ভোট প্রচারে। এদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ভোট প্রচারে বাম-কংগ্রেসকে নিশানা করলেও তৃণমূলের জন্য একটা কথাও খরচ করছেন না। বিরোধীদের অভিযোগ ত্রিপুরায় তলায় তলায় সেটিং করেছে বিজেপি ও তৃণমূল। তার জেরেই বিজেপি তৃণমূল সম্পর্কে কিছু বলছে না। ভোট কাটাকুটিতে বিজেপিকে সুবিধা করে দেওয়ার চেষ্টা করছে তৃণমূল, দাবি বাম কংগ্রেসের। তৃণমূল এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে।