এবার ত্রিপুরার নির্বাচনে ফলাফলের নিরিখে দেখা যাচ্ছে নতুন করে যে শক্তি উঠে এসেছে তার নাম অবশ্য়ই তিপ্রা মোথা। বাম কংগ্রেসকেও টপকে গিয়েছে তিপ্রা মোথা। এবার সেই দলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল রাজ্য়ের সাংবিধানিক সমস্য়া মেটাতে তারা বিজেপির সঙ্গে কথা বলতে রাজি। এদিকে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা ইতিমধ্যেই রাজপরিবারের উত্তরসূরী প্রদ্যোত মাণিক্য দেববর্মনের সঙ্গে কথা বলার ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছেন। আর প্রদ্যোত মাণিক্য দেববর্মনই তিপ্রা মোথা পার্টির প্রধান। তিনি এবার বিজেপির সঙ্গে আলোচনার ব্যাপারে নিজের সম্মতির কথা জানালেন।
দেববর্মন জানিয়েছেন, আমি অসমের মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য শুনেছি। তাঁরা আমাদের সঙ্গে কথা বলার ব্যাপারে তৈরি রয়েছেন। যদি তাঁরা উপযুক্ত মর্যাদা দিয়ে আমাদের আলোচনায় আহ্বান করেন তবে আমরাও তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি। ত্রিপুরার সাংবিধানিক সমাধানের জন্য়ই আমরা তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি।
এর সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, আমরা ত্রিপুরার ভূমিপুত্র। যদি আপনারা ভাবেন আমাদের অধিকারকে অবজ্ঞা করে ত্রিপুরা শাসন করবেন তবে আপনারাই সমস্যার মধ্যে পড়বেন। ত্রিপুরার আদি মানুষদের সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যই তিপ্রা মোথা তৈরি হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের সাংবিধানিক অধিকারের দাবি আদায়ের জন্য আমরা লড়াই করছি। আমরাই ভূমিপুত্র। তারা যদি ত্রিপুরার সাংবিধানিক সমস্যার সমাধান করার ব্যাপারে লিখিত সম্মতি দেন তবে আমরাও তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি। ত্রিপুরার মানুষ আমাদের ভোট দিয়েছেন। শুধু পদের জন্য আমরা তাদের অধিকারকে অবজ্ঞা করতে পারি না।
এদিকে ত্রিপুরায় ভোটের ফলাফল বের হওয়ার পরে অসমের মুখ্য়মন্ত্রী হিমন্ত শর্মা তিপ্রা মোথার প্রসঙ্গে মুখ খুলেছিলেন। এদিকে অসমের মুখ্য়মন্ত্রী নিজে উত্তরপূর্বে দলের দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি জানিয়েছিলেন, তিপ্রা মোথার যে দাবি রয়েছে তা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ও ত্রিপুরার নতুন সরকারের আলোচনা করা দরকার।
এর সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, বিজেপি ও তিপ্রা মোথার মধ্য়ে আলোচনা হতে পারে। কিন্তু সেটা সংবিধানের গন্ডীর মধ্যে থেকে। কখনই সংবিধানের নিয়ম নীতিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আলাদা ত্রিপুরা রাজ্যের দাবিতে নয়। প্রসঙ্গত ত্রিপুরা বিধানসভা আসনের ৬০ আসনের মধ্যে এবার ১৩টি আসন পেয়েছে তিপ্রা মোথা।