রবিবার ২০ ফেব্রুয়ারি উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের ভোটপর্বের তৃতীয় দফার ভোট। ১৬ টি জেলার ৫৯ টি আসনে ভাগ্য পরীক্ষা হতে চলেছে ৬২৩ জন প্রার্থীর। এই ৬২৩ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৩৫ জনের বিরুদ্ধে রয়েছে অপরাধের অভিযোগ। উত্তরপ্রদেশের বুন্দেলখণ্ড থেকে অবধ প্রদেশে রয়েছে ভোট পর্ব। এই এলাকার বেশিরভাগটাই সমাজবাদী পার্টির যাদব-গড় হিসাবে পরিচিত। এরমধ্যে অন্যতম মুখ মৈনপুরি এলাকার কারহাল। যেখানে ভোটে লড়ছেন খোদ যাদবকুলের সেনাপতি তথা সমাজবাদী পার্টির নেতা মুলায়াম-পুত্র অখিলেশ।
উল্লেখ্য, ১৬ টি জেলার মধ্যে একাধিক হাইভোল্টেজ ভোটকেন্দ্র রয়েছে এই পর্বে। উত্তরপ্রদেশের পশ্চিমাংশের একাধিক হাইভোল্টেজ আসনে চলবে ভোট। সেখানে ফিরোজাবাদ, মৈনপুরী, এটাহ, কাসগঞ্জ, হাথরাসে রয়েছে ২০ ফেব্রুয়ারি ভোট। মূলত এই এলাকা ভোটের বড়সড় 'ডিসাইডিং ফ্যাক্টর' হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তৃতীয় দফার ভোটে ময়দানে নামছে অবধ। অবধের হাইভোল্টেজ কেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে কানপুর, কানপুর দেহাত, কনৌজ, এটাওয়াহ, ফরুকাবাদ। বুন্দেলখণ্ড এলাকার ঝাঁসি, জালাউন, মহোবা, হরিমপুরে রয়েছে ভোট। এরমধ্যে কাসগঞ্জ থেকে কনৌজ, ফিরোজাবাদ থেকে মৈনপুরী, এয়াওয়াহ থেকে ফরুকাবাদে রয়েছে সমাজবাদী পার্টির যাদবদের দাপট। মুলাময়ম সিংয়ের পরিবারকে এই এলাকা বহুকাল নিরাশ করেনি। অন্তত ২০১৭ সাল পর্যন্ত সেরকমই ট্রেন্ড ছিল। তবে যাদব-বলয়ের পোক্ত গড়ে ২০১৭ সালে যাদব বলয়ের ২৯ টি আসনের মধ্যে বিজেপি দখলে রাখে ২৩ টি আসন, সমাজবাদী পার্টি পায় ৬ টি। তার আগে ২০১২ সালে এই যাদব-গড়ে সমাজবাদী পার্টি পেয়েছিল ২৫ টি ও বিজেপি পেয়েছিল মাত্র ১ টি ভোট।
তৃতীয় দফায় উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনে ৬২৩ জনের মধ্য ২৪৫ জনই কোটিপতি প্রার্থী। এই কোটি পতি প্রার্থীদের তালিকায় এগিয়ে সমাজবাদী পার্টি। এই দফার ভোটে তাদের দলের ৫২ জন প্রার্থী কোটিপতি, সবচেয়ে ধনী প্রার্থী খোদ অখিলেশ যাদব। এরপরই রয়েছেন বিজেপির ৪৮ জন প্রার্থী। বিএসপির ২৯ জন প্রার্থী। ২৯ জন কংগ্রেস প্রার্থী ও আপ-এর ১৮ জন প্রার্থী কোটিপতি হিসাবে উঠে এসেছেন।
উল্লেখ্য, তৃতীয় দফার ভোটে আলাদা করে নজর কাড়ছে মৈনপুরীর কারহাল কেন্দ্র। সেখানে নিজের পোক্ত পিচে লড়াইয়ে নামছেন অখিলেশ। তবে তাঁকে কঠিন চ্যালেঞ্জ দিতে বিজেপি এই আসনে ময়দানে নামাচ্ছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা আগরার সাংসদ এসপি সিং বাঘেলকে। তৃতীয় দফার ভোটে সমাদবাদী পার্টির সেনাপতিকে ঘিরে আলাদা করে অঙ্ক কষেছে বিজেপি। ফলে এই জায়গা থেকে মৈনপুরীর ভোটে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখা যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়াও ধর্ষণকাণ্ড ঘিরে আলাদা করে নজর কেড়েছে হাথরাস। সেখানে তিনটি আসন, হাথরাস, সিকান্ড রারাউ, সাদাবাদ। ২০১৭ সালে সেখানে ভোটে বিজেপি ২ টি আসন ও বিএসপি একটি আসন পেয়েছিল। তবে ২০২০ সালের গণধর্ষণের পর এই এলাকার ভোট মানচিত্র কোনদিকে যাবে সেদিকে তাকিয়ে দেশ।