উত্তরপ্রদেশেও 'মা, মাটি, মানুষ' ভাবাবেগ ছোঁয়ার চেষ্টা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ‘উত্তরপ্রদেশ হল আমাদের মা, মাদার, আম্মা। উত্তরপ্রদেশ যদি ভালো থাকে, দেশও ভালো থাকবে।’ সেইসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো জানালেন, বিজেপিকে ‘তাড়াতে’ আগামী ৩ মার্চ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লোকসভা কেন্দ্র বারাণসীতে যাবেন।
মঙ্গলবার লখনউয়ে সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশের পাশে বসে বিজেপিকে আক্রমণ শানান মমতা। করোনাভাইরাসের সময় গঙ্গায় মৃতদেহ ভেসে আসা, হাথরাসের ধর্ষণের ঘটনা, উন্নাও ধর্ষণকাণ্ডের মতো বিষয় নিয়ে যোগী আদিত্যনাথের সরকারকে আক্রমণ করেন। তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো বলেন, ‘যাঁরা হাথরাস, উন্নাওয়ের ঘটনার জন্য দায়ী এবং করোনাভাইরাসের সময় উত্তরপ্রদেশে গঙ্গায় মৃতদেহ ফেলে দিয়েছিলেন, তাঁদের কোনওদিন ক্ষমা করবে বা ইতিহাস। এই ঘটনার সময় আপনি কোথায় ছিলেন? উত্তরপ্রদেশের মানুষের কাছে যোগীজিকে ক্ষমা চাইতে হবে।’ সঙ্গে তিনি বলেন, ‘যোগীজি যদি আবার আসেন, তাহলে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিকভাবে উনি আপনাদের খেয়ে ফেলবেন। উনি কিছু জানেন না। তাই উনি বিদায় নিচ্ছেন। তাঁকে যেতে দিন।’
লখনউয়ে মমতার কথায় লখিমপুর খেরিতে কৃষকদের মৃত্যুর ঘটনাও উঠে আসে। কড়া সুরে মমতা বলেন, ‘আপনাদের কোনও লজ্জা নেই? আপনাদের মন্ত্রীর ছেলে গাড়ি চাপা দিয়ে কৃষকদের মেরে ফেললেন। সেজন্য নিদেনপক্ষে ক্ষমা চেয়ে নিন।' যে লখিমপুর খেরির ঘটনায় কৃষকদের গাড়ির চাকায় পিষে মারার অভিযোগ উঠেছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনির ছেলের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনা নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। অমিত শাহের জুনিয়রের পদত্যাগের দাবিও তোলা হয়।
সেই পরিস্থিতিতে মমতা জানান, উত্তরপ্রদেশে ‘আলো’ আনতে অখিলেশদের জেতাতে হবে। ভোট দিতে হবে সমাজবাদী পার্টি-রাষ্ট্রীয় জনতা দলের জোটকে। মমতার কথায়, 'বিজেপি বাংলায় বলেছিল যে ২০০ পার। এখানে আমরা বলছি যে অখিলেশজি এবার '৩০০ পার। উত্তরপ্রদেশে আলো আনতে হবে। কে আলো আনতে পারবেন? অখিলেশ এবং তাঁর দল।' সঙ্গে যোগ করেন, ‘আমি নিশ্চিত যে অখিলেশ উত্তরপ্রদেশে জিতবেন। আমি আমার আসব।’