ভোট মিটলেই কি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়বে? একটি মহলের তরফে এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে। পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর সেই বিষয় নিয়ে কিছুটা আভাস দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
বৃহস্পতিবার পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ফলাফলের পর নয়াদিল্লিতে বিজেপির কেন্দ্রীয় সদর দফতরে মোদী জানান, করোনাভাইরাস এবং রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধের ফলে বিশ্বের উপর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। তিনি বলেন, 'এই পরিস্থিতিতে পুরো বিশ্বের জোগান ব্যবস্থা ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে। দু'বছর ধরে সাপ্লাই চেনের উপর বিরূপ প্রভাব পড়েছে। যুদ্ধের ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। এই সমস্যাগুলির মোকাবিলার জন্য ভারত যে পদক্ষেপ করেছে, আর্থিক দিক থেকে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, গরিবদের স্বার্থে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা দেশকে সতর্কভাবে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছে। ভারত বেঁচে গিয়েছে, কারণ আমাদের নীতির শিকড় মাটিতে আছে। নিষ্ঠা এবং প্রতিজ্ঞার ভিত্তিতে তা অবিরত এগিয়ে গিয়েছে।'
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে ‘সামরিক অভিযান’ শুরু করেছে। তারপর বিশ্ব বাজারে বেড়েছে অপরিশোধিত তেলের দাম। ধাক্কা খেয়েছে বাজার। সেই পরিস্থিতিতে মুদ্রাস্ফীতির আশঙ্কায় ভুগছে আমজনতা। বৃহস্পতিবার মোদী বলেন, ‘এখন যে যুদ্ধ চলছে, তার প্রভাব প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে বিশ্বের সব দেশের উপর পড়ছে। ভারত শান্তির পক্ষে আছে। আলোচনার মাধ্যমে সমস্ত সমস্যা সমাধানের পক্ষে আছে ভারত। কিন্তু যে দেশগুলি সরাসরি যুদ্ধ করছে, সেই দেশগুলির সঙ্গে আর্থিক, সুরক্ষা, শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে ভারতের যোগসূত্র আছে।’
সেই পরিস্থিতিতে পাঁচ রাজ্যে ভোট মিটলেই বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়ানো হতে পারে বলে মনে করছে একটি মহল। বৃহস্পতিবার অবশ্য মোদী সরাসরি দাম বৃদ্ধির কোনও কথা বলেননি। তিনি বলেন, ‘ভারতের অনেক প্রয়োজনীয় জিনিস ওতপ্রোতভাবে এই দেশগুলির সঙ্গে জড়িত আছে। বিদেশ থেকে ভারত যে (অপরিশোধিত) ভোজ্যতেল নিয়ে আসে, পামতেল নিয়ে আসে, সূর্যমুখী তেল নিয়ে আসে, আন্তর্জাতিক বাজারে সেগুলির দাম দ্রুত হারে বাড়ছে। কয়লা হোক, গ্যাস হোক, সার হোক - বিশ্বের সর্বত্র সব জিনিসের দাম অবিশ্বাস্য হারে বাড়ছে।’ সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘যুদ্ধের কারণে পুরো দুনিয়ায় মুদ্রাস্ফীতি হচ্ছে। উন্নয়নশীল দেশের উপর বেশি প্রভাব পড়ছে। এই বিষয়গুলির পরিপ্রেক্ষিতে এবারের বাজেট দেখলে বোঝা যাবে যে দেশ আত্মনির্ভরতার পথে এগিয়ে যাচ্ছে।’