রাত পোহালেই উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের চতুর্থদফার ভোট। ২০২২ বিধানসভা নির্বাচনে যোগীগড়ে ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে তিনটি দফার ভোট গ্রহণ। এবার চতুর্থ পর্বে পদার্পণ করতে চলেছে এই ৪০৩ আসনের হাইভোল্টেজ নির্বাচন। ২৩ ফেব্রুয়ারি বুধবার ৫৯ টি আসনে উত্তরপ্রদেশে ভোট গ্রহণ পর্ব সম্পন্ন হবে। মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত সমস্ত পোলিং স্টেশনে শুরু হচ্ছে ভোটগ্রহণ পর্ব ঘিরে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। চতুর্থ দফার ভোটে আলাদা করে ফোকাসে থাকছে উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউ। এছাড়াও পিলিভিট, খিরি, সীতাপুর, হারদোই, উন্নাও, রায়বরেলি, বান্দা, ফতহপুরে হবে ভোটগ্রহণ।
উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম তিন দফার ভোটে বুন্দেলখণ্ড ও পশ্চিমী উত্তরপ্রদেশে সম্পন্ন হয়েছে ভোট। এরপর ভোটগ্রহণ পর্ব রয়েছে চতুর্থপর্বে। চতুর্থপর্বে অবধের কিছু অংশে ভোট গ্রহণের পর পঞ্চম পর্বে রয়েছে পূর্বাঞ্চলের কিছু আসনে ভোট। উল্লেখ্য, চতুর্থ পর্যায়ের ভোট ময়দানে ভাগ্য পরীক্ষা হতে চলেছে ৬২৪ জন প্রার্থীর। ৫৯ টি আসনের মধ্যে চতুর্থদফায় প্রার্থীদের গড় সম্পত্তি ২.৪৬ কোটি টাকা। ২০১৭ সালের নির্বাচনের নিরিখে যদি ২০২২ সালের চতুর্থদফার ভোটের আসনকে মাপা যায়, তাহলে রাজনৈতিক হাওয়া সম্পর্কে খানিকটা ধারণা করা যাবে। চতুর্থদফার ৫৯ টি আসনের মধ্যে ৫১ টিতে বিজেপি জয় পেয়েছিল। একটি আসন জিতেছিল আপনা দল। চারটিতে জয় পেয়েছিল সমাজবাদী পার্টি, ২ টি আসনে জয় পেয়েছিল কংগ্রেস, বাকি ২ টি আসনে জয় পেয়েছিল বিএসপি।
উল্লেখ্য, রাজধানী লখনউয়ের ভোটপর্ব চতুর্থদফার ভোটে আলাদা করে নডর কাড়বে। এছাড়াও ভোট ময়দানে নামছে লখিমপুর খিরি। গত ৩ অক্টোবর লখিমপুরের ঘটনার পর সেখানে ২০২২ সালের বিধানসভা ভোট পর্বের ভোটগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই এলাকার পরিস্থিতি ঘিরে বিরোধীদের চরম সমালোচনার মুখে পড়ে বিজেপি। এদিকে, ভোটে অংশ নিচ্ছে পিলিভিট। যেখানের সাংসদ রয়েছেন বিজেপির বরুণ গান্ধী। তরাই এলাকার এই পিলিভিটের সাংসদ নিজেই পার্টির বিরুদ্ধে বহু প্রশ্ন করেছেন। সই জায়গা থেকে এই ভোট পর্ব বেশ আলোচনায় উঠে আসতে চলেছে।