লড়াইটা হাড্ডাহাড্ডি হবে। তেমনই আভাস মিলেছে বুথফেরত সমীক্ষায়। যদিও বিজেপি এবং কংগ্রেস - দু'দলেরই দাবি, একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে যে তারা ক্ষমতা দখল করতে চলেছে, তা আগামী বৃহস্পতিবারই ফল প্রকাশের দিনই স্পষ্ট হয়ে যাবে।
দশটি জাতীয় এবং আঞ্চলিক সংবাদমাধ্যমের বুথফেরত সমীক্ষার গড় অনুযায়ী, ৭০ আসন-বিশিষ্ট বিধানসভায় ৩৫ টি আসনে জিততে পারে বিজেপি। যা ‘ম্যাজিক ফিগার’-এর থেকে এক কম। কংগ্রেসের ঝুলিতে আসতে পারে ৩২ টি আসন। প্রত্যাশা জাগিয়েও একটির বেশি আসন পাবে না আম আদমি পার্টি (আপ)। তিনটি আসনে জিততে পারে অন্যান্যরা। অর্থাৎ আপ বা অন্যান্যরা ‘কিং মেকার’ হতে পারে।
যদিও উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি দাবি করেন, অধিকাংশ বুথফেরত সমীক্ষায় স্পষ্ট আভাস দেওয়া হয়েছে যে সরকার গড়বে বিজেপি। সেইসঙ্গে কোনও সরকার পরপর দু'বার ক্ষমতা না থাকার যে মিথ আছে, তাও গেরুয়া শিবির ভেঙে দেবে বলে দাবি করেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত যে রাজ্যে ৬০ টির বেশি আসন জিতবে বিজেপি। রাজ্যের মানুষ আমাদের আশীর্বাদ করেছেন। যা ১০ মার্চ স্পষ্ট হয়ে যাবে।’ একইসুরে রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি দেবেন্দ্র ভাসিন জানান, অতীতে দেখা গিয়েছে যে বুথফেরত সমীক্ষার পূর্বাভাস পুরোপুরি ভুল প্রমাণিত হয়েছে। ‘ডবল ইঞ্জিনের’ সরকার গড়বে বিজেপি।
যদিও বুথফেরত সমীক্ষায় বাড়তি গুরুত্ব দিতে নারাজ উত্তরাখণ্ডের বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস নেতা প্রীতম সিং। তিনি দাবি করেছেন, ৪৫ টির বেশি আসন জিতবে কংগ্রেস এবং সরকার গঠন করবে। তাঁর কথায়, ‘বুথফেরত সমীক্ষায় যাই পূর্বাভাস দেওয়া হোক না কেন, রাজ্যে সরকার গঠন করবে কংগ্রেসই।’ যে রাজ্যে ২০১৭ সালে ৫৭ টি আসনে জিতেছিল বিজেপি। কংগ্রেসের দখলে গিয়েছিল মাত্র ১১ টি আসন।
গাঢ়ওয়াল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এমএম সেমওয়ালের মতে, বুথফেরত সমীক্ষায় যে আভাস দেওয়া হয়েছে, তাতে ত্রিশঙ্কু বিধানসভা হতে পারে। তিনি বলেন, ‘আগামী কয়েকদিনে রাজ্যে দল পরিবর্তন দেখব। দুই দলই সম্ভাব্য (জয়ী) নির্দল প্রার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করবেন।'