এবার নন্দীগ্রামের মঞ্চে যোগী আদিত্যনাথকে পাশে নিয়ে ধর্মের তোপ দাগলেন শুভেন্দু অধিকারী। প্রতিপক্ষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে বললেন, ‘আপনি কলমাটা তো ভুল পড়েন না!’ যোগীর তোপ, ওঁর একমাত্র চিন্তা বাংলায় অনুপ্রবেশকারীদের সংরক্ষণ দেওয়া। কেন্দ্রের একাধিক প্রকল্প এই রাজ্যে চালু হতে দেননি দিদি। আয়ূষ্মান ভারত, পিএম কিষাণ চালু করেননি। ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি ছাড়া অন্য কোনও দিকে ওঁর নজর নেই। ভোটব্যাঙ্ক ধসে যাওয়ার ভয়ে উনি বাংলায় গোহত্যা বন্ধ করেননি।
এদিন প্রথম দফার ভোটের আগে শেষ দিনের প্রচারে রাজ্যে এসেছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। নন্দীগ্রামে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর সমর্থনে জনসভায় উপস্থিত হন। আর এখান থেকেই ফের ভুল মন্ত্রপাঠ নিয়ে মমতাকে তোপ দাগেন শুভেন্দু। যোগীর সঙ্গে এক মঞ্চে দাঁড়িয়ে শুভেন্দুর তোপ, ‘প্রত্যেক সভা থেকে বিষ্ণুমাতা বলে ভগবানের লিঙ্গ পরিবর্তন করে দেবকে দেবী বানাচ্ছেন আপনি। সরস্বতী পূজার মন্ত্র ভুল বলে বাগদেবীকে অপমান করতে পারেন না। আপনি ভুল চণ্ডীপাঠ করছেন, আপনি তো কলমাটা ভুল পড়েন না।’
নন্দীগ্রামে বৃহস্পতিবার যোগীর দাবি, এই বাংলার সন্তান শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় স্বাধীন ভারতে কংগ্রেসের কুটিল নীতি সফল করতে দেননি। ১৯৫২ সালে ভারত কেশরী একটা স্বপ্ন দেখেছিলেন, এক ভারতে দুই প্রধান, দুই নিশান চলবে না। শ্যামাপ্রসাদের সেই স্বপ্নকে সফল করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ করেছেন। এই বাংলা একসময় আমাদের প্রেরণা দিত। কংগ্রেস–কমিউনিস্টদের নীতি এবং তৃণমূল কংগ্রেসের গুন্ডাগিরির কারণে অব্যবস্থা ছড়িয়ে পড়েছে বাংলায়। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে গেলে একমাত্র রাস্তা হল বিজেপি।
এখানে দাঁড়িয়েই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, দু’বছর আগে দুর্গাপুজোয় বাধা দেওয়া হয়েছিল বাংলায়। উত্তরপ্রদেশে ধুমধাম করে দুর্গাপুজো হয়, সরস্বতী পুজো হয়, রামলীলার আয়োজন করা হয়। একইসঙ্গে চাকরিও মেলে, গরীবদের ঘরও মেলে, কিষান সম্মান নিধিও কার্যকর হয়। আর বাংলার কৃষকদের জন্য, বেকার যুবক–যুবতীদের জন্য চিন্তা নেই মমতার। শুধু ভোট ব্যাঙ্কের চিন্তা।