তাঁর দলের প্রার্থীতালিকায় গদ্দাররা রয়েছে বলে শুক্রবারই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটে তৃণমূল পর্যাপ্ত সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে গদ্দাররা বিজেপিতে যোগ দিতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। ২৪ ঘণ্টা কাটার আগেই তৃণমূল প্রার্থীর মন্তব্যে মিলল তেমনই সম্ভাবনার ইঙ্গিত। প্রার্থীও যেমন তেমন নন, উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা রায়গঞ্জের তৃণমূল প্রার্থী কানাইয়ালাল আগরওয়াল। শুক্রবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ভোটের পর তৃণমূলের সরকার না হলে রায়গঞ্জের মানুষের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেবো।
শুক্রবার রায়গঞ্জ প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন কানাইয়ালালবাবু। সেখানে এক সাংবাদিক তাঁকে প্রশ্ন করেন, ২০১৬ সালে ইসলামপুর থেকে তিনি কংগ্রেসের টিকিটে জিতেছিলেন। পরে তৃণমূলে যোগ দেন। এবারও কি ভোটে পর তৃণমূলের সরকার না হলে তেমন কোনও সম্ভাবনা রয়েছে?
জবাবে কানাইয়ালালবাবু বলেন, ‘বিজেপি বা সংযুক্ত মোর্চার সরকার গঠনের কোনও সম্ভাবনা নেই। ক্ষমতায় আসবে তৃণমূলই। তবু কোনও কারণে যদি তেমনটা না হয় তাহলে ইসলামপুরে যেমন স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, এখানেও তেমনই করবো।’
কানাইয়ালালবাবুর এই মন্তব্যে তুমুল শোরগোল শুরু হয়। বিরোধীরা বলতে শুরু করে, ভোটের আগেই দলবদলের ইঙ্গিত দিচ্ছেন তৃণমূল প্রার্থী। এতেই বোঝা যাচ্ছে ভোটের ফল কী হতে চলেছে। চাপের মুখে রাতে একটি ভিডিয়ো বার্তা জারি করেন কানাইয়ালালবাবু। সেখানে তিনি বলেন, ‘কোনও পরিস্থিতিতেই আমি তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়বো না। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছি, উনি নিজের ওপর যতটা বিশ্বাস করেন, আমার ওপরেও ততটাই বিশ্বাস করতে পারেন’।