সোমবার কালিম্পংয়ের রোড শো থেকে গোর্খাদের জন্য একগুচ্ছ আশ্বাস দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বলেছিলেন, এনআরসি হলেও গোর্খাদের তাড়ানো হবে না। মঙ্গলবার দার্জিলিংয়ের লেবংয়ের সভা থেকে আরও এক দফা এগিয়ে গোর্খাদের জন্য সাফ কথা অমিত শাহের। তিনি বলেন, ‘গোর্খারা কখনই অনুপ্রবেশকারী নন। এনআরসি নিয়ে ভয় দেখাচ্ছে তৃণমূল। গোর্খাদের ভাষাকে সরকারি ভাষার মর্যাদা দেওয়া হবে। এনআরসি নিয়ে কোনও ব্যাপারই নয়। আর এনআরসি হলেও গোর্খাদের গায়ে কেউ হাত দিতে পারবে না। আমার নাম করে বলবেন, গোর্খাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। গোর্খাদের সঙ্গে বিজেপির এই বন্ধন ভগবান করেছেন। তৃণমূল এই বন্ধনকে ভাঙার চেষ্টা করছে। গোর্খা আর নেপালীদের সম্মানের জন্য যে কোনও লড়াইয়ের জন্য আমরা প্রস্তুত’। দার্জিলিংয়ের উন্নতিতেও একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি অমিত শাহের। তিনি বলেন, ‘দার্জিলিংয়ের পানীয় জলের ব্যবস্থার উন্নতি করা হবে। ক্ষমতায় আসার পরে দার্জিলিং মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন করা হবে। ক্ষমতায় আসার ৬ মাসের মধ্যে পাহাড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন করা হবে। হিমালয়ান পর্যটন সার্কিট, রাজবংশী পর্যটন সার্কিট গড়ে তোলা হবে। চা বাগানের শ্রমিকদের জন্য প্রায় হাজার কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। গোর্খাদের সমস্যা মেটাবে বিজেপি’। অন্যদিকে পাহাড়ের মাটি থেকেও তৃণমূল নেত্রীকে নিশানা করেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, ‘ভাইপোকে মুখ্যমন্ত্রী বানাতে চায় ওরা। ভাইপোর লোকজন সরকারি প্রকল্পের টাকাতেও ভাগ বসাচ্ছে। আপনারা কী ভাইপোকে চান?’ সভাস্থলে উপস্থিত শ্রোতারা সমস্বরে তাঁদের অসম্মতি জানিয়ে দেন। রাজনৈতিক মহলের মতে, ভোট বাজারে পাহাড়বাসীর মন জয়ে এদিন সব হাতিয়ারই প্রয়োগ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে পাহাড়ে গোর্খাল্যান্ডের দাবি অবশ্য় এবার সুকৌশলে এড়িয়ে যাচ্ছেন যুযুধান দুই শিবিরই।