গত শনিবার ভোটের দিন শীতলকুচিতে বুথের কাছেই গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মৃত্যু হয়েছিল আনন্দ বর্মনের। তাঁর রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে দড়ি টানাটানি কিছু কম হয়নি। আনন্দ বর্মনের মৃত্যকে হাতিয়ার করে রাজ্য জুড়ে তৃণমূলকে কোণঠাসা করতে তৎপর বিজেপি সভাপতি। মঙ্গলবারই বঙ্গ সফরে এসে আনন্দ বর্মন ইস্যুতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নিশানা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। রাজবংশী বলেই কী তৃণমূল নেত্রী আনন্দ বর্মনের মৃত্যু নিয়ে চুপ থাকছেন? প্রশ্ন তুলেছিলেন অমিত শাহ। এবার বঙ্গ সফরে এসে বুধবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা সেই আনন্দ বর্মনের মৃত্য়ুকে সামনে আনলেন। রাজারহাটে তিনি সরাসরি বললেন, 'আনন্দ বর্মনের মৃত্যুতে কেন নীরব মমতা? তাঁর মৃত্যুর জন্য তৃণমূল দায়ী।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আনন্দ বর্মনের সম্পর্কে একটা কথাও বলছেন না। আনন্দ বর্মন রাজবংশী সন্তান ছিলেন। দলিত সমাজের সন্তান। টিএমসির গুণ্ডারা তাঁকে খুন করেছে। আসলে তৃণমূল দলিত বিরোধী।' রাজনৈতিক মহলের মতে, এখনও উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় ভোট বাকি রয়েছে।বিজেপি বার বার সামনে আনছে রাজবংশী যুবক আনন্দ বর্মনের মৃত্যুকে। মূলত রাজবংশী ভোট ব্যাংককে নিজেদের অনুকূলে আনতে কৌশলী পদক্ষেপ গেরুয়া শিবিরের। তবে তৃণমূল শিবিরের অবশ্য পালটা দাবি, কিছু না জেনেই মৃত্য়ু নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি। তৃণমূল নেত্রী ইতিমধ্যেই আনন্দ বর্মনের মৃত্যুর কথা উল্লেখ করেছেন। বুধবার মাথাভাঙাতে পঞ্চ শহিদের কথা উল্লেখ করেই শ্রদ্ধা জানিয়েছেন নেত্রী। সেখানে আনন্দ বর্মনের মামা ও দাদুও ছিলেন। কোনওভাবেই নেত্রী নীরব নন।