ভোটের প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই মালদার মানিকচকে গেরুয়া শিবিরের অন্দরের দ্বন্দ্ব চরমে ওঠে। তারই পরিণতিতে দলের একাংশ ভোট বাজারেও বিক্ষুব্ধ হয়ে যান। তারই পরিণতিতে কেউ নির্দল প্রার্থী হয়ে যান, কেউ আবার নির্দল প্রার্থীর পাশে দাঁড়ান। এতেই কী ঘুম ছুটেছে বিজেপির? পরিস্থিতি সামাল দিতে একেবারে ফোন করে নির্দল প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করার জন্য আবেদন করা হচ্ছে বিজেপির তরফে। এমনটাই দাবি করেছেন নির্দল প্রার্থী, বিজেপির বিক্ষুব্ধ নেতা কর্মীদের একাংশের। তবে ওই অডিওর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস ডিজিটাল।
কী রয়েছে সেই অডিওতে? দুটি ফোন কলের রেকর্ডিং ভাইরাল হয়েছে। বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হচ্ছে একটি ফোনকলের একপ্রান্তে রয়েছেন মানিকচকের নির্দল প্রার্থী ডালিম মণ্ডল ও অপর প্রান্তে রয়েছেন বিজেপি নেতা অভিজিৎ মিশ্র। সেই কলে ডালিম মণ্ডলকে প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের জন্য ২ লক্ষ টাকার টোপ দেওয়া হচ্ছে বিজেপি নেতার তরফে। দাবি করা হচ্ছে এমনটাই। অন্যদিকে অপর একটি ফোনকলের একপ্রান্তে রয়েছেন নির্দল প্রার্থী অনিল মণ্ডল ও অপর প্রান্তে রয়েছেন বিজেপির মালদহ জেলা সভাপতি গোবিন্দ মণ্ডল। সেই ফোনে বার বার কথা বলতে চাইছেন বিজেপি নেতা। কিন্তু এড়িয়ে যেতে চাইছেন নির্দল প্রার্থী।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মানিকচক কেন্দ্রে এবার বিজেপির প্রার্থী করা হয়েছে গৌরচন্দ্র মণ্ডলকে। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসার পরেই তাঁরে প্রার্থী করা হয়। তবে এনিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন দলের অনেকেই। তবে সেই আপত্তি শেষ পর্যন্ত ধোপে টেকেনি। এরপরই রাগে, অভিমানে নির্দল হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়েন একাধিক বিজেপি নেতা। এর জেরেই অস্বস্তি বাড়ে গেরুয়া শিবিরে। তবে কী স্নায়ুচ চাপ সামলাতে না পেরেই একেবারে নির্দল প্রার্থীদের ফোন করে বসলেন বিজেপি নেতৃত্ব? তবে ডালিম মণ্ডলকে ফোন করা প্রসঙ্গে বিজেপি নেতৃত্বের দাবি এটি ভুয়ো অডিও। অন্য়দিকে অন্য ফোন প্রসঙ্গে বিজেপি নেতৃত্বের দাবি অভিমান ভাঙাতেই ফোন করা হয়েছিল।