ভোটের মাঝপথেই অশান্তির খবর। বৃহস্পতিবার দুপুরে দফায় দফায় উত্তেজনা অশোকনগরে। টেংরা আদর্শ শিক্ষা নিকেতনের বুথের সামনে বোমাবাজির অভিযোগ। পুলিশের গাড়িতেও ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ময়দানে নামে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাহিনী গুলি চালিয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি তাদের দুজন কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তবে গুলি চালানোর অভিযোগ একেবারেই মানতে চায়নি বাহিনী।
এদিন দুপুরে ওই বুথে আসেন বিজেপি প্রার্থী তনুজা চক্রবর্তী। তাঁর দাবি তিনি বুথে ঢুকতেই এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি শুরু হয়। দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায়। এলাকায় সন্ত্রাস পাকানোর জন্য তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই কাজ করেছে বলে অভিযোগ বিজেপি প্রার্থীর। বিজেপি প্রার্থী তনুজা চক্রবর্তী বলেন, আমি বুথে ঢুকতেই একেবারে বৃষ্টির মতো বোমাবাজি শুরু হয়। পুলিশের গাড়ির কাঁচ ভেঙে যায়। কেন্দ্রীয় বাহিনী কয়েকজনকে আটক করেছে। বস্তা বস্তা বোমা পাওয়া গিয়েছে। হিংস্রতার পথ নিয়েছে তৃণমূল। ওদের কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে মিথ্যা কথা বলছে তৃণমূল। আমাকে খুন করার চক্রান্ত করেছে ওরা।'
অন্যদিকে তৃণমূল নেতৃত্বের পালটা দাবি,' আচমকা বিজেপি প্রার্থী বুথে এসেছিলেন। পেছন পেছন আর একটা গাড়ি এল। আচমকা বোমাবাজি হয়। তারপর বাহিনী বাইরে এসে চার রাউন্ড গুলি চালাল। তৃণমূলের দুজন কর্মী জখম হয়েছেন। ওদের পায়ে গুলি লেগেছে। বহিরাগত লোকজন এসব করেছে। তৃণমূল প্রার্থী নারায়ণ গোস্বামী বলেন, আধাসামরিক বাহিনী যদি কোনও দলের হয়ে কাজ করেন তবে কী বলব? তবে বাহিনীর আধিকারিকরা স্পষ্টত জানিয়েছেন, কিছু হয়নি। গুলি চালানো হয়নি। বিভিন্ন সূত্রের খবর, কমিশনও বিষয়টি মানতে চায়নি।
তবে সামগ্রিক পরিস্থিতিতে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়়ায় এলাকায়। এলাকায় ব্যাপক টহল দেয় পুলিশ ও টহলদারি। তৃণমূলের স্থানীয় এক নেতা পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিতে শোনা যায়, শীতলকুচি করতে চাইছেন নাকি?