মমতাকে পরাস্ত করতে গোটা বিজেপি দলের তাবড় নেতারা গত কয়েকমাস ধরে ঘাঁটি গেড়েছিলেন এই বাংলায়। কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ ঝড় উঠেছিল বিজেপির প্রচারে। আর রবিবার ফল ঘোষণার পর দেখা গেল সবুজ ঝড়ে প্রায় উড়ে গিয়েছে গেরুয়া শিবির। সংখ্যা গরিষ্ঠতার ধারেকাছে যেতে পারেনি বিজেপি। নিঃসন্দেহে কঠিন লড়াই। সেই লড়াইতে শেষ হাসি হেসেছে তৃণমূল। সেই লড়াইয়ের ফলাফল বের হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বিধায়কদের নিয়ে সোমবার বৈঠকে বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আপাতত বিধায়কদের সাবধানী হওয়ার পরামর্শ দিলেন তিনি। বিধায়কদের তিনি বলেন, ‘বিধায়ক হয়ে গিয়েছি বলে অহঙ্কার করলে চলবে না। জিতেছেন মানে দায়িত্ব বেড়েছে।’ এককথায় নিজেদের দায়িত্ব সম্পর্কে বিধায়কদের তাঁদের সচেতন করলেন নেত্রী। এর সঙ্গেই নেত্রী বলেন, 'আমাদের জয়ে সারা দেশের মানুষ খুশি হয়েছেন। দেশের সব বিরোধীরা খুশি হয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন। '
বৈঠক সূত্রে খবর, এবারও স্পিকারের চেয়ারে বসতে চলেছেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পিকার নির্বাচনের দিন প্রোটেম স্পিকারের দায়িত্ব পালন করবেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। পরিষদীয় দলের নেতা হিসাবে থাকছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে কে কোন দফতর পাবেন সেটা ঠিক করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই। সোমবার একথা জানিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।