ভোটের দিন অশান্তি মোকাবিলায় একেবারে লাঠি হাতে সামনের সারিতে থাকবে তৃণমূলের মহিলা ব্রিগেড। ভোট লুঠ রুখতে নয়া রণকৌশলের কথা জানালেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী তথা কোচবিহারের নাটাবাড়ির তৃণমূল প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়তেও নানা বিতর্কের কেন্দ্র বিন্দুতে ছিলেন মন্ত্রী। এবার বিধানসভা ভোটের ঠিক আগের দিন কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে একেবারে বিস্ফোরক দাবি মন্ত্রীর। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর পোশাক পরে বিজেপির হার্মাদবাহিনী গ্রামে গ্রামে ঘুরছে। নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা একেবারেই সন্তোষজনক নয় বলে মন্ত্রীর দাবি। প্রসঙ্গত গত কয়েকদিন ধরে ধারাবাহিক সন্ত্রাসের জেরে বার বার উত্তপ্ত হয়েছে কোচবিহার। মাথাভাঙার তৃণমূল প্রার্থী গিরীন্দ্রনাথ বর্মনকে মারধর ও রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মাথাভাঙা মহকুমা শাসকের দফতরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ উপস্থিত হয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। এরপর শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে একের পর এক তোপ দাগলেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা সন্তোষজনক নয়।সংবেদনশীল এলাকাতেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর দেখা নেই।কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকাও সন্তোষজনক নয়। কোথাও যেন রহস্য লুকিয়ে রয়েছে। ভোটের দিন বাড়ির পুরুষ সদস্যদের গার্ড দিয়ে নিয়ে যাবেন মহিলারা।রাতে লাঠি হাতে গ্রাম পাহারা দেবেন মহিলারা।বিজেপির হার্মাদরা যাতে অশান্তি পাকাতে না পারে সেজন্যই এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।মহিলারা রেডি হয়ে বুথে যাবেন।যা যা মোকাবিলার করা সবটা তারা করবেন। তা সে বিজেপির হার্মাদই হোক কিংবা কেন্দ্রীয় বাহিনী।ভোটদানের অধিকারে বাধা দিলেই রুখে দাঁড়াবেন মহিলারা।মহিলাদের বলেছি, বেশি রাতে কেউ এলে লাঠি হাতে বেরবেন। এরপরই তাঁর বিস্ফোরক দাবি, আমরা অভিযোগ পাচ্ছি সেন্ট্রাল ফোর্সের ড্রেস পরে বিজেপির হার্মাদরা যাচ্ছে। এটা ঠিক হচ্ছেনা। তবে রবীন্দ্রনাথ ঘোষের এই মন্তব্যের পালটা তোপ দেগেছেন বিজেপির জেলা সভাপতি মালতী রাভারায়।তিনি বলেন, মন্ত্রীর বিরদ্ধে কমিশনে নালিশ জানাব। মুখ্যমন্ত্রীর মতো তিনিও উসকানিমূলক কথা বলছেন।