ছেলের খুনিদের শাস্তি দিতেই তাঁর রাজনীতিতে আসা। শুক্রবার এই কথাই জানালেন ব্যারাকপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তথা মণীশ শুক্লার বাবা চন্দ্রমণি শুক্লা। ভোট যুদ্ধে নেমেই তাঁর প্রথম প্রতিক্রিয়া, ‘বাধ্য হয়েই আমায় রাজনীতিতে আসতে হয়েছে। রাজনীতি আমার প্যাশন নয়। প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজনীতি আমার পেশা নয়, আমি একজন চিকিৎসক। আমার রাজনীতিতে আসার প্রথম কারণ ছেলের খুনিদের শাস্তির ব্যবস্থা করা। ব্যারাকপুরের গরিব মানুষ, শ্রমিকদের পাশে থাকতে চাই। তাঁদের জন্য কাজ করতে চাই।’
গত বছরের ৪ অক্টোবর টিটাগড় থানার কাছে একটি চায়ের দোকানে দাঁড়িয়ে থাকার সময় বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লাকে গুলি করেছিল কয়েকজন দুষ্কৃতী। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনার পর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা ব্যারাকপুর, টিটাগড় এলাকা। বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে শুরু হয় দোষারোপের পালা। মণীশ শুক্লা খুনের ঘটনার তদন্ত করছে সিআইডি। এই খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ১০ জন দুষ্কৃতীকে।
মণীশ খুনের পর বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা তাঁর বাবা-মা'র সঙ্গে দেখাও করে গিয়েছেন বেশ কয়েকবার। তারপর থেকেই বিজেপির টিকিটে মণীশ শুক্লার বাবা বিধানসভা নির্বাচনে দাঁড়াতে পারেন বলে জল্পনা ছিল রাজনৈতিক মহলে। এরপর বৃহস্পতিবার মৃত বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লার বাবা চন্দ্রমনি শুক্লার নাম ঘোষণা হতেই মণীশ শুক্লা অনুগামীরা ভিড় করতে থাকেন প্রয়াত নেতার বাড়িতে।
বৃহস্পতিবার প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পর ব্যারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী চন্দ্রমনি শুক্লা বলেন, ‘আমি ডাক্তার মানুষ। আমার কাজ মানুষের চিকিৎসা করা। কিন্তু আমি বাধ্য হয়েছি রাজনীতিতে আসতে। আমার রাজনীতিতে আসার কয়েকটি উদ্দেশ্য আছে। আমার ছেলে মণীশকে যারা হত্যা করেছে, তাদের শাস্তি দিতে আমার রাজনীতিতে আসা। আমার ছেলে মণীশ ব্যারাকপুর ও টিটাগড়ের মানুষদের জন্য অনেক সামাজিক কাজ করত। আমিও রাজনীতিতে এসেছি ব্যারাকপুর ও টিটাগড়ের মানুষদের সেবা করতে, তাদের পাশে দাঁড়াতে। আমি আশাবাদী যে আমি জিতব।‘
তাঁর বিরুদ্ধে এবার তৃণমূল প্রার্থী দাঁড় করিয়েছে পরিচালক রাজ চক্রবর্তীকে। এই প্রসঙ্গে বিজেপি প্রার্থী বলেন, ‘ব্যারাকপুর ও টিটাগড়ের মানুষ কি একজন সিনেমার পরিচালককে বেছে নেয় নাকি একজন হতভাগ্য পিতা ডাক্তারকে তাদের পাশে সর্বক্ষণের সঙ্গী হিসেবে পেতে চান এখন সেটাই দেখার।’