ভোটে জিতে ক্ষমতায় এলেই, বালি—কয়লা মাফিয়াদের জেলে পাঠানোর হুঁশিয়ারি দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
শুক্রবার আলিপুরদুয়ারে জনসভা ছিল বিজেপি’র। সেখানেই থেকেই এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। এরাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর প্রথমে এই কাজটিই করবেন বলে দেন শাহ।
নির্বাচনের শুরু থেকেই ‘কয়লা ও বালি মাফিয়া’ দের নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি। উত্তরবঙ্গে সেই একই কথা শোনা গেল অমিতের মুখেও। তিনি বলেন, ‘২ মে’র পর বালি মাফিয়া, কয়লা মাফিয়াদের রাজত্ব বন্ধ করব। সবাইকে জেলে পাঠাবার ব্যাবস্থা করব। শুধু আপনারা দিদিকে বদলান। আত্মীয়দের ফোন করে বলুন, যাতে তাঁরা ভোট দিতে আসে।’
এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কোচবিহারের শীতলকুচিতে সভা সেরে আলিপুরদুয়ারের কালচিনিতে আসেন। সেখানে সভামঞ্চ থেকে রাজ্য সরকার উত্তরবঙ্গকে বঞ্চনা করেছে বলে তোপ দাগেন অমিত।
দলীয় প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার আবেদন জানানোর পাশাপাশি কোচবিহারের কথাই ফের পুনরাবৃত্তি করে অমিত শাহ বলেন, ‘ কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গের দূরত্ব ৭০০ কিলোমিটার। কিন্তু দিদি মনে করেন, এই দূরত্ব যেন ৭ হাজার কিলোমিটার।’ এদিন বিজেপির এই সভা থেকে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন মোহন শর্মা। আলিপুরদয়ার জেলা পরিষদের মেন্টর থাকার পাশাপাশি একাধিক পদের দায়িত্বে ছিলেন জেলার এই তৃণমূল নেতা।
এদিন উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন নিয়ে একাধিক প্রতিশ্রুতি দেন অমিত। তিনি বলেন, ‘ভোটের ফল বেরলেই চা-শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি বৃদ্ধি করা হবে। এখন যেটা ২১০ টাকা রয়েছে, সেটা বাড়িয়ে ৩৫০ টাকা করা হবে। চা-বাগানে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের জমির পাট্টা বিলি করা হবে। স্কুল, এমইস, হাসপাতাল তৈরি করা হবে। এছাড়াও পাহাড়ে নেপালি ভাষার অ্যাকাডেমি তৈরি করা হবে।’
তৃণমূলের ‘খেলা হবে’ স্লোগান নিয়েও এদিন কটাক্ষ করতে ছাড়েননি শাহ। তিনি বলেন, ‘দিদির বিদায় নিশ্চিত। খেলা হবে বলে ভয় দেখাতে চাইছে তৃণমূল। ভয় পাবেন না। নন্দীগ্রামের ভোটে হেরে গিয়েছেন দিদি। বাংলায় আর গুন্ডারাজ চলবে না।’