বিধানসভার অধিবেশনের শেষ দিনে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বিজেপিতে যোগদানকারী ২ বিধায়কের সাক্ষাৎ নিয়ে দলবদলের জল্পনা। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস ও নোয়াপাড়ার বিধায়ক সুনীল সিং। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘ আলাপচারিতা হয় ২ জনের। যার পর ২ বিধায়কের দলবদলের সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। যদিও সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন ২ জনই।
নোয়াপাড়ার বিধায়ক সুনীল সিং সাংসদ অর্জুন সিংয়ের আত্মীয়। ওদিকে বনগাঁর বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। সোমবার ১৬তম রাজ্য বিধানসভার অধিবেশনের শেষ দিনে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। আলাদা আলাদা করে সাক্ষাৎ করেন ২ জনে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সুনীল সিংয়ের প্রায় ২০ মিনিট কথা হয়।
এর পর সুনীলবাবু সংবাদমাধ্যমকে জানান, উন্নয়ন ও বিধায়ক তহবিলের বরাদ্দ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। যদিও তা মানতে নারাজ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, বিধানসভার অন্তিম অধিবেশনের শেষ দিনে এই সমস্ত বিষয়ে আলোচনা অপ্রাসঙ্গিক। ভোট ঘোষণার আগে হাতে রয়েছে আর কয়েকটা দিন। এই মুহূর্তে নতুন করে কোনও প্রকল্পে হাত দেওয়া অসম্ভব। ফলে উন্নয়ন ও বিধায়ক তহবিল নিয়ে কথা বলে লাভ কী?
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ২ বিধায়কের সাক্ষাতের পর তাঁদের দলবদলের সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। বিশেষ করে বিশ্বদিৎ দাস মুখ্যমন্ত্রীকে প্রণাম করায় প্রশ্ন উঠছে, এত আস্থা থাকলে তৃণমূল ছাড়লেন কেন তিনি? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে নির্বাচনের পর পরিস্থিতি অনুকূল না হলে তৃণমূলের ফেরার দরজা খুলে রাখলেন তাঁরা।