হাতে আর একটি দিন। ১ এপ্রিল দ্বিতীয় দফার বিধানসভা নির্বাচন। সেখানে নজরকাড়া কেন্দ্র নন্দীগ্রাম। তাই নির্বাচন কমিশনের কড়া নজরে নন্দীগ্রাম। এছাড়া বাঁকুড়া, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার ৩০ আসনে ভোটগ্রহণ রয়েছে। সেই ৩০ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ পর্বের জন্য মোতায়েন থাকবে ৬৫১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। নন্দীগ্রামে মুখোমুখি লড়াই করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু অধিকারী। তাই এখানে বেশি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখা হচ্ছে বলে খবর।
জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র নন্দীগ্রামেই থাকছে ২১ কোম্পানি আধাসেনা। দ্বিতীয় দফায় দুই জেলায় মোট ৬৫১ কোম্পানি আধাসেনা মোতায়েন থাকবে। পশ্চিম মেদিনীপুরে ২১০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, বাঁকুড়ায় ১৭০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, পূর্ব মেদিনীপুরে ১৯৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় থাকছে ৭২ কোম্পানি আধাসেনা। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, নির্বাচন পরবর্তী হিংসা রুখতে পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রামে ছয় কোম্পানি করে বাহিনী থাকবে ভোটের পরেও।
এই ২১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে গোটা নন্দীগ্রাম মুড়ে ফেলা হবে বলে সূত্রের খবর। প্রতিটি বুথকে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের দিয়ে। এমনকী নির্বাচনের আগের রাতে পেট্রোলিং বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পটাশপুর এবং কেশিয়াড়ির ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, তাই রাতের দিকে নজরদারি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। রাজ্য পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর সমন্বয়ে বাড়াতে হবে রাত পাহারা। সেক্টর অফিসে থাকা রাজ্য পুলিশ এবং কিউআরটি–তে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর মধ্যে আরও সমন্বয় বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।