বাম ও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হয়েছিল আইএসএফের। নির্বাচনের আগে এই জোটই ভোটের লড়াইতে নেমেছিল। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর বাম- কংগ্রেসের হাল কী হয়েছে তা গোটা বাংলাই দেখছে। বাম শরিকদলগুলি ইতিমধ্যেই এই ধরণের জোটের বিরুদ্ধে সুর তুলতে শুরু করেছে। কিন্তু এই জোটের অন্যতম শরিক আইএসএফ কী বলছে? কী বলছেন আইএসএফ নেতা আব্বাদ সিদ্দিকী? ভাঙর থেকে সর্বসাকুল্যে একটি আসন জিতেছে সংযুক্ত মোর্চা অন্যদিকে বলা ভালো সুবিধা পেয়েছে আব্বাসের দলই । সেটাও আবার আব্বাদ সিদ্দিকীর ভাই নওশাদ সিদ্দিকী পেয়েছেন এই আসনটি। এরপর কী জোটসঙ্গীদের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখবেন আব্বাদ সিদ্দিকী? নাকি একলা চলো নীতিতে চলবেন? এর মধ্যেই অভিযোগ উঠছে তৃণমূল নাকি ভাঙরের বিধায়ককে দলে টানার জন্য নানা চেষ্টা চালাচ্ছে। সংবাদ মাধ্যমের কাছে এব্য়াপারে খোলসা করেছেন খোদ আব্বাদ সিদ্দিকী।
আব্বাস জানিয়েছেন, ‘হার জিত হতেই পারে। তা বলে জোট এগিয়ে যাবে না এটা হতে পারে না। বাকী যারা রয়েছেন তাঁরা কী ভাবছেন, না ভাবছেন তা আলোচনার মাধ্যমে উঠে আসবে। ভোটদান দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার। আমার বিজেপিকে পছন্দ না হতে পারে। তৃণমূলকেও পছন্দ না হতে পারে। আইএসএফকেও পছন্দ না হতে পারে। সবারই পছন্দ, অপছন্দ রয়েছে। মানুষের রায়কে আমরা সম্মান করি।’ বলছেন আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকী।
কিন্তু যা বলা হয়েছিল তার ধারে কাছেও তো যায়নি জোট। আব্বাস জানিয়েছেন, ‘যাঁরা আইএসএফের নেতৃত্বে আছে, যাঁরা সংয়ুক্ত মোর্চার নেতৃত্বে আছেন তাঁরা নিশ্চয় আলোচনা করেছেন।’ আর ভাঙরের বিধায়ককে তৃণমূল দলে টানার চেষ্টা করছে এই অভিযোগ প্রসঙ্গে আব্বাসের দাবি, ‘আমার কাছে তেমন কোনও খবর নেই। আমরা একটা নীতি নিয়ে চলি। ভাঙরের মানুষ তৃণমূলকে চায় না বলেই আইএসএফকে জিতিয়েছে। সেই মানুষদের বিশ্বাস যাতে না ভাঙে সেটা দেখাও আমাদের দায়িত্ব।’