দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে নজরকাড়া কেন্দ্র ছিল নন্দীগ্রাম। সেখানে ভোট মিটলেও তরজা রয়েই গিয়েছে। একই আসন থেকে দু’জনেই জেতার ব্যাপারে হুঙ্কার ছেড়েছেন। একজন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর অন্যজন দলবদলু বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী–স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তো দাবি করেই গিয়েছেন বিজেপি দু’দফা মিলিয়ে ৫০টি আসন পেয়ে গিয়েছে। তবে এখনও ফলাফল ঘোষণা হয়নি। হবে ২ মে। এবার এই নন্দীগ্রাম নিয়েই শুভেন্দু অধিকারীকে তুলোধনা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘গতকাল বড় বিশ্বাসঘাতকের বিসর্জন হয়েছে নন্দীগ্রামে।’ তবে নাম না করেই কটাক্ষ করলেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ।
শুক্রবার বিকেলে পারুলিয়া থেকে ডায়মন্ড হারবার স্টেশন বাজার পর্যন্ত এক বর্ণাঢ্য রোড-শো করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই নাম না করে দলবদলু বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করেন তিনি। বলেন, ‘যারা বলেছেন তাঁরা অপমানিত, কাজ করতে পারছিলেন না, তাঁরা ৬ বছর আগে দল ছাড়লেন না কেন? দলের খেয়ে দলের পরে বিজেপি নেতাদের পা ধরে শেষে বিজেপিতে যোগ দিয়েছে। গতকাল বড় বিশ্বাসঘাতকের বিসর্জন হয়ে গিয়েছে নন্দীগ্রামে।’
এদিন দীপক হালদারকে উদ্দেশ্য করে অভিষেক বলেন, ‘১০ বছর খেয়ে মধু, ছোট বিশ্বাসঘাতক এখন সাজছে সাধু। এই জেলার ৩১টি আসনই পাবে তৃণমূল কংগ্রেস। ১ এপ্রিলের ভোটে জেলায় তৃণমূল কংগ্রেস ৪–০ গোলে জিতেছে। রাজ্যে ২৫০–এর বেশি আসনে জিতবে তৃণমূল কংগ্রেস। ওরা বলছে, এবার নাকি পদ্মফুল ফুটবে। পদ্মফুল ফোটে পাঁকে। এই আসনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী পান্নালাল হালদারকে রেকর্ড ভোটে জিতিয়ে ছোট বিশ্বাসঘাতককে জবাব দেবেন ডায়মন্ড হারবারের মানুষ।’