প্রার্থী তালিকায় জায়গা না পাওয়ায় রাজ্যজুড়ে আদি–নব্য বিজেপি নেতা–কর্মীর মধ্যে তুমুল অশান্তি শুরু হয়েছে। কিন্তু রূপোলি পর্দা থেকে যাঁরা গেরুয়া শিবিরে গিয়েছেন তাঁদের পক্ষে এই বিক্ষোভ–আন্দোলন করা সম্ভব নয়। তাই বিকল্প পথ বেছে নেওয়া হয়েছে। প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম এখনও ঘোষণা হয়নি। কিন্তু যাতে হয় তার জন্যই নিজেকে বিজেপির প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করে দিলেন টলিউড অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। আর তাতেই বঙ্গ–বিজেপির মধ্যে প্রবল অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। কিন্তু অভিনেত্রীকে কিছু বলতেও পারছেন না রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।
এখানেই শেষ নয়, জনগণের থেকে আগাম আশীর্বাদও চেয়ে নিয়েছেন অভিনেত্রী। এমনকী বাকি অভিনেতা, অভিনেত্রীও এই পথই ধরবেন বলে ঠিক করেছেন বলে সূত্রের খবর। কিন্তু ঠিক কী করেছেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়? সোমবার পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী অশোক দিন্দার সমর্থনে সভা করেন শ্রাবন্তী। আর সেখান থেকেই নিজের প্রার্থী হওয়ার কথা ঘোষণা করেন শ্রাবন্তী। ময়নার সভা থেকে শ্রাবন্তী বলেন, ‘এত বছর ধরে আমি অভিনয় জগতে ছিলাম। এখন আমার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়েছে। খুব শীঘ্রই আমি প্রার্থী হতে চলেছি। তাই আপনাদের আশীর্বাদ চাইছি।’
একুশের নির্বাচনে এখনও পর্যন্ত রাজ্যের সব আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেনি বিজেপি। প্রথম চার দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হয়েছে। আর তা নিয়েই দলের অন্দরে অশান্তি চরমে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে তালিকায় জায়গা পেয়েছেন অঞ্জনা বসু, পায়েল সরকার, হিরণ চট্টোপাধ্যায় এবং যশ দাশগুপ্তের মতো টলিউডের তারকারা। তবে শ্রাবন্তীর নাম এখনও ঘোষণা করেনি বিজেপি। তাতে অনিশ্চয়তা দেখতে পাচ্ছেন অধুনা বিজেপি অভিনেত্রী। তবে শোনা গিয়েছে, বেহালা–পশ্চিম থেকে প্রার্থী হতে পারেন তিনি। কিন্তু যতক্ষণ তা না হচ্ছে ততক্ষণ একটা অনিশ্চয়তা থেকেই যায়। এই পরিস্থিতিতে আচমকা নিজের নাম ঘোষণা করে দেওয়ায় দলের মধ্যে শুরু হয়েছে বিতর্ক। উল্লেখ্য, এর আগে বিজেপি প্রার্থী হওয়ার কথা বলেছিলেন পায়েল সরকার। আর বেহালা পূর্ব থেকে তিনি বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন। তাই এই নয়া ট্রেন্ডেই গা ভাসালেন অভিনেত্রী বলে মনে করা হচ্ছে।