রাজ্যে সংযুক্ত মোর্চার খারাপ ফলের জন্য মেরুকরণের রাজনীতিকেই দায়ী করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। সঙ্গে রাজ্যের রাজনীতি কোন পথে যাচ্ছে তা নিয়েও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করলেন তিনি। রবিবার ভোটগণনার পর এক সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানান তিনি।
এদিন অধীরবাবু জানান, রাজ্যে সংযুক্ত মোর্চা ও কংগ্রেসের যে ভয়াবহ পরাজয় হয়েছে তা অপ্রত্যাশিত।
তাঁর মতে, ‘এবারের নির্বাচনে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে সরাসরি লড়াইয়ের একটা বাতাবরণ তৈরি হয়ে গিয়েছিল। সেখানে সংযুক্ত মোর্চা মানুষকে এমন কোনও এমন কোনও প্রতিশ্রুতি দিতে পারেনি যার দ্বারা বাংলার মানুষ সংযুক্ত মোর্চার ওপর আস্থা রাখতে পারে’।
সঙ্গে অধীরের ব্যাখ্যা, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনমোহিনী প্রকল্পের বন্যা ও প্রশান্ত কিশোরের রণকৌশেলর যে সংমিশ্রণ তা শক্তিশালী সংমিশ্রণ বলে প্রমাণিত হয়েছে’।
সংযুক্ত মোর্চার ভরাডুবির জন্য সরাসরি মেরুকরণকে দায়ী করে অধীর বলেন, ‘এই নির্বাচনে ভোটের সম্পূর্ণ মেরুকরণ হয়েছে। যা আরও তীব্র হয়েছে শীতলকুচির ঘটনার পর। যার ফলে আমরা এই নির্বাচনে আর দাঁড়াতে পারলাম না’।
তিনি বলেন, ‘আমরা কখনো ভাবিনি যে পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস ক্ষমতায় আসতে পারে। তবে সংযুক্ত মোর্চার সম্মিলিত শক্তির দ্বারা পরিবর্তন সম্ভব বলে ভেবেছিলাম। আমরা কংগ্রেসের শক্তিকে রক্ষা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমরা তা পারিনি। মানুষ ভোট দিয়েছে হয় হিন্দুকে নয় মুসলিমকে’।
সঙ্গে বাংলার রাজনীতির ভবিষ্যতের গতিপথ নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, ‘গোটা রাজ্য ও মুর্শিদাবাদ জেলায় আমাদের হার হয়েছে। মানুষের রায়কে মেনে নিলাম। কিন্তু মানুষের ভোট যদি হিন্দু আর মুসলিমে বিভাজিত হয়ে যায় তাহলে আগামিদিনে রাজনীতি কোন পথে যাচ্ছে সেটা আমার আপনার মতো শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষকে ভাবতে হবে’।
রবিবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন ২০২১-এর ফল প্রকাশ হলে দেখা যায় গোটা রাজ্যে মাত্র ১টি আসনে জিতেছে সংযুক্ত মোর্চা। কোনও আসন পায়নি বাম বা কংগ্রেস। একমাত্র আসনটি পেয়েছে ISF.