বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফাতেই কাত হয়ে পড়লেন সৌমেন্দু অধিকারী। তাও আবার নিজের গড় দক্ষিণ কাঁথিতে। অধিকারী পরিবারের খাসতালুকেই আক্রান্ত হলেন শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারী। আর ভাঙচুর হল তাঁর গাড়ি। আহত হন সৌমেন্দুর গাড়ির চালক। অভিযোগ, ব্লক সভাপতি রামগোবিন্দ দাসের নেতৃত্বেই হামলা হয়েছে।
এই ঘটনা নিয়ে ফুঁসে উঠলেন শিশির অধিকারী। তিনি বলেন, ‘সৌমেন্দুর কেশ স্পর্শ করার ক্ষমতা ওদের নেই। আগামী দু’দিন আরও কঠিন সময় আসছে। দু’ঘণ্টার মধ্যে ওষুধ দিয়ে দেব। কড়া ডোজ দিয়ে দেব রাধাগোবিন্দকে।’ এই মন্তব্য করার সঙ্গে সঙ্গে এই নির্বাচনে তিনি যে মাঠে নেমেছেন তা স্পষ্ট হয়ে গেল। আর কড়া ডোজের ওষুধ প্রয়োগের নিদান দেওয়ায় জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে।
উল্লেখ্য, কাঁথির দুটি বুথে রিগিংয়ের অভিযোগ পেয়ে ছুটে যান দক্ষিণ কাঁথির বিজেপি এজেন্ট সৌমেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, ওখানে পৌঁছতেই বুথের বাইরে তাঁর গাড়িতে ভাঙচুর চালায় দুষ্কৃতীরা। তাঁর গাড়ির চালক আহত হন। তিনটি বুথে রিগিং করা হচ্ছিল। তা রুখতে গিয়েছিলাম।
শনিবার ভোট চলাকালীন সৌমেন্দু বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি রামগোবিন্দ দাসের নেতৃত্বে ৫০ জন দুষ্কৃতী হামলা চালিয়েছে। তারা বুথে রিগিং করছিল। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বলার পরও হেলদোল ছিল না। ভেতরে যখন গিয়ে ছিলাম তখন গাড়িতে আক্রমণ করল।’ তারপরেই রাধাগোবিন্দর বিরুদ্ধে তোপ দেগে শিশির অধিকারী বলেন, ‘মদ, মাংস কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সাপ্লাই করছে। ওর ব্যবস্থা করব। প্রতিটি প্রক্রিয়ার পাল্টা প্রতিক্রিয়া আছে।’