বঙ্গ প্রচারে এসে মোদীর মুখে এখন শুধুই ‘দিদি’। ‘দিদি’ অর্থাৎ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নানাভাবে নানা ভঙ্গিমায় সেই দিদির ডাক। কখনও ‘দিদি, ও দিদি’, কখনও আবার ‘আরে দিদি’। সম্প্রতি কৃষ্ণনগরের জনসভায় এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখে ‘আদরনীয় দিদি’ তো সবার নজর কেড়েছিল।
তখন অনেকেই মনে করেছিলেন, ‘দিদি’ ডাকের আগে এই নতুন বিশেষণ প্রয়োগ হয়ত এমনি হয়নি। সম্প্রতি মোদীর এই নানা ভঙ্গিমায় দিদি ডাক নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। অনেকেরই বক্তব্য, এভাবে নানা ভঙ্গিমায় দিদি ডেকে আসলে তৃণমূল নেত্রীকেই অপমান করছেন মোদী। তবে কিন্তু নানা ভঙ্গিমায় দিদি বলায় ইতি পড়েনি। নিত্য নতুন বিশেষণ যোগ হয়েছে। এমনকী সোমবার রাজ্যে ভোটপ্রচারে এসে আবারও মোদীর মুখে ফিরেছে ‘দিদি, ও দিদি’।
গত শনিবার শিলিগুড়ি ও কৃষ্ণনগরে সভা করে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শিলিগুড়িতে ৪৪ মিনিট ও কৃষ্ণনগরে ৩৪ মিনিট বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। দুটি সভা মিলে মোট ১২৬ বার দিদি ডাক শোনা যায় মোদীর গলায়। তবে নানা ভঙ্গিমায়। কখনও সুর চড়িয়ে, আবার কখনও নানা ইস্যুতে তৃণমূল সরকারের সমালোচনা করতে গিয়ে ‘দিদি’ বলে সম্মোধন তো করছেনই।
সেই সঙ্গে মাঝেমধ্যেই দিদিকে নানা ভঙ্গিমায় ডেকে হাততালিও কুড়িয়েছেন তিনি। মোদীর এই ধরনের সম্মোধনকে মোটেও ভালো চোখে দেখছে তৃণমূল। কয়েকদিন আগেই তৃণমূল ভবনে নেত্রী শশী পাঁজা সাংবাদিক বৈঠক করে তীব্র বিরোধিতা করেছেন। তাঁর কথায়, ‘প্রধানমন্ত্রী এভাবে ডেকে একজন মহিলাকে অপমান করছেন।’ শুধু তৃণমূলের তরফেই নয়, মহিলা সমাজের একাংশের তরফেও এই ধরনের সম্মোধনের তীব্র নিন্দা করা হয়। তাতে অবশ্য মোদীর ‘দিদি, ও দিদি’-র প্রত্যাবর্তন আটকায়নি।
যদিও সম্প্রতি এক সভায় গিয়ে তৃণমূল নেত্রী বলেছেন, ‘মোদী রোজ আমায় দিদি দিদি বলে ভ্যাঙায়। আমার তাতে কোনও সমস্যা নেই।আমার গুরুত্ব রয়েছে বলেই তো এসব করছেন।’ তবে সোশ্যাল মিডিয়া অবশ্য এখন অনেকেই মোদীর এই সম্মোধনের পাল্টা ‘ও মোদী’ বলে সম্মোধন করে কেন্দ্রের বিভিন্ন জনবিরোধী সিদ্ধান্তের সমালোচনা করা শুরু হয়েছে। ফলে গোটা বিষয়টি যে জমে উঠেছে তাতে সন্দেহ নেই্।