গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে একেবারে ফাঁকা মাঠে দাপিয়ে খেলেছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। শনিবারও ভোটের দিন কোচবিহার শহরের বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন কার্যত নাটকীয়ভাবে একেবারে হেলমেট পরে। ইট বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টি থেকে বাঁচতে ও বিজেপির সন্ত্রাসের প্রতিবাদে এটা তাঁর প্রতীকী পদক্ষেপ, এমনটাই জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রীর এই হেলমেট পরা ছবি দেখে অনেকেই ভেবেছিলেন এবার খেলা জমবে। কিন্ত বাস্তবে কতটা ব্যাটিং করতে পারলেন মন্ত্রী। স্থানীয় সূত্রে খবর, হেলমেট পরেই বিভিন্ন এলাকায় ভোটদানের নানা দিক সম্পর্কে ঘুরে ঘুরে খোঁজখবর নিচ্ছিলেন তিনি। চিলাখানাতেও ভোট দেখতে আসেন তিনি। আর সেখানেই কার্যত বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। একেবারে আঙুল উঁচিয়ে বিক্ষোভকারীদের দিকে তেড়ে যান তিনি। কিন্ত তাতেও বিক্ষোভ থামেনি এদিন। সকালে চিলাখানার একটি বুথের সামনে যান নাটাবাড়ির তৃণমূল প্রার্থী তথা মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। বড় গেট ঠেলে ভেতরে ঢুকতে যান তিনি। তখনই তাঁকে বাধা দেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। বুথ চত্বরে ঢোকার মূল দরজা বন্ধ করে দেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। এরপরই ফিরে আসছিলেন মন্ত্রী। আর তখনই শুরু হয় তুমুল বিক্ষোভ। মন্ত্রীকে ঘিরে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা। পালটা আঙুল উঁচিয়ে তেড়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ‘মস্তানি করছ আমার সঙ্গে?কিন্ত মন্ত্রীর ধমকেও কাজ হয়নি এদিন। বিক্ষোভ চলতেই থাকে ক্রমশ।মন্ত্রী বলেন, এরা অসভ্য, জানোয়ার। আমাকে খুনের হুমকি দিচ্ছে। এসব বিজেপির ভাড়াটিয়া গুন্ডা। এরা বিজেপির হার্মাদ। বিজেপির পালটা দাবি এলাকায় ভোট প্রভাবিত করার জন্য মন্ত্রী এদিন গিয়েছিলেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্ত এবার সেই দাওয়াই কাজ করেনি। জনতাই প্রতিরোধ করেছে যাবতীয় সন্ত্রাসের।’