ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে ভোটের আগে বৈঠক করেছিলেন অল ইন্ডিয়া মজলিশে ইত্তেহাদুল মুসলিমিন বা মিমের প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়েইসি। তাঁর সঙ্গে জোট করে ভোটে লড়ার বার্তাও দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পরে অবশ্য আব্বাস ওয়েইসির হাত ছেড়ে দিয়ে বাম–কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে। আব্বাসের সঙ্গে জোটে যাওয়ার বিষয়টিকে অবশ্য ভালো চোখে দেখেনি মিমের রাজ্যস্তরের নেতারাই। অসন্তোষ এতটাই দানা বেঁধেছে যে মিম থেকে ভোটের আগে অন্য দলে যোগ দিচ্ছেন মিমের অনেক বিক্ষুব্ধ নেতাই।
সম্প্রতি পার্ক সার্কাসে মিমের অনেক বিক্ষুব্ধ নেতাই যোগ দেন ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লিগ নামে একটি দলে। ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লিগের সভাপতি মহম্মদ সুলেমান ও সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মৌলানা আলি হুসেন কুম্মির উপস্থিতিতে যোগ দেন মিম ছেড়ে বেরিয়ে আসা সৈয়দ জামিরুল হাসান। নতুন দলে যোগ দিয়ে ওয়েইসির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে জামিরুল বলেন, ‘ওয়েইসি সাহেব আমাদের না জানিয়েই আব্বাস সিদ্দিকির হাতে দায়িত্ব দিয়ে আসেন। মিমের সঙ্গে কথাবার্তা চূড়ান্ত না করেই আব্বাস বাম–কংগ্রেস জোটের সঙ্গে আলোচনা চালিয়েছে। এটা আমাদের দলের অনেক কর্মী সমর্থকরাই মেনে নিতে পারেনি।’ একইসঙ্গে তিনি জানান, আব্বাস বাম–কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে ভোটে লড়ছেন। অথচ ওর পিছনে সমর্থন আছে মাত্র ২ থেকে ৩ শতাংশ।
উল্লেখ্য, এর আগে মিম ছেড়ে অনেক নেতাই তৃণমূল কংগ্রেসেও যোগ দিয়েছিলেন। মিমের শীর্ষ নেতারা রাজ্য স্তরের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই গত ২৬ ফেব্রুয়ারি মেটিয়াবুরুজে সভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু পুলিশের অনুমতি না মেলায় সভা বাতিল হয়ে যায়।