নাগরিকত্ব ইস্যুতে মতুয়া সমাজের মধ্যে ক্ষোভ ছিলই। সেই পরিস্থিতিতে প্রার্থী নিয়ে বিজেপি প্রভাবিত মতুয়া মহাসঙ্ঘের ক্ষোভের জেরে সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে একজন মতুয়াকেও প্রার্থী করা হয়নি। বিজেপির পক্ষ থেকেও প্রার্থী তালিকায় নেই কোনও মতুয়া প্রার্থী। আবার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকাতেও কোনও মতুয়া নেই। ফলে একদিকে যেমন বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের প্রধান সেবায়েত মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর, অন্যদিকে তেমনি শাসকদলের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দিলেন বনগাঁ লোকসভার প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরও।
এই পরিস্থিতিতে নিউটাউন পাঁচতারা হোটেলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বৈঠক করেন কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে। সেখানে এই প্রসঙ্গটি উঠে আসে। যদিও বৈঠক শেষে হোটেল থেকে গুয়াহাটির উদ্দেশ্যে রওনা দেন অমিত শাহ। তারপর বৈঠক থেকে শান্তনু ঠাকুর বেরিয়ে জানান, ব্যক্তিগত আলোচনা ছিল। অবশ্যই রাজনৈতিক ব্যাপারেও ছিল। আমার বিধানসভার কিছু বিষয় নিয়ে কিভাবে কি করা যায় তা নিয়ে কথা হয়েছে। আনন্দের বিষয় হল, যেটা চেয়েছিলাম সেটা হয়েছে। যেটা ক্যাবিনেট বৈঠক তৈরি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হয়ে গেলে লাভজনক হবে।
উল্লেখ্য, মতুয়া ভোটব্যাঙ্ক এই নির্বাচনে বড় বিষয়। তাই একদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আশ্বাস দেন, করোনা টিকাকরণ শেষ হলেই মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। ইস্তেহারে তার উল্লেখ রয়েছে। আর অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্পষ্ট ঘোষণা, মতুয়ারা এদেশের নাগরিকই আছেন। তাঁদের ভোটার কার্ড রয়েছে। তাঁরা ভোট দেন। নাগরিকত্ব ইস্যুতে এভাবেই মতুয়াদের নিয়ে দড়ি টানাটানি চলছে দু’পক্ষের মধ্যে।
এই পরিস্থিতিতে নিউটাউন পাঁচতারা হোটেলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বৈঠক করেন কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে। সেখানে এই প্রসঙ্গটি উঠে আসে। যদিও বৈঠক শেষে হোটেল থেকে গুয়াহাটির উদ্দেশ্যে রওনা দেন অমিত শাহ। তারপর বৈঠক থেকে শান্তনু ঠাকুর বেরিয়ে জানান, ব্যক্তিগত আলোচনা ছিল। অবশ্যই রাজনৈতিক ব্যাপারেও ছিল। আমার বিধানসভার কিছু বিষয় নিয়ে কিভাবে কি করা যায় তা নিয়ে কথা হয়েছে। আনন্দের বিষয় হল, যেটা চেয়েছিলাম সেটা হয়েছে। যেটা ক্যাবিনেট বৈঠক তৈরি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হয়ে গেলে লাভজনক হবে।
উল্লেখ্য, মতুয়া ভোটব্যাঙ্ক এই নির্বাচনে বড় বিষয়। তাই একদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আশ্বাস দেন, করোনা টিকাকরণ শেষ হলেই মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। ইস্তেহারে তার উল্লেখ রয়েছে। আর অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্পষ্ট ঘোষণা, মতুয়ারা এদেশের নাগরিকই আছেন। তাঁদের ভোটার কার্ড রয়েছে। তাঁরা ভোট দেন। নাগরিকত্ব ইস্যুতে এভাবেই মতুয়াদের নিয়ে দড়ি টানাটানি চলছে দু’পক্ষের মধ্যে।|#+|
এই বিষয়ে মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর বলেন, ‘শান্তনু ঠাকুরের নেতৃত্বে মতুয়াদের নিয়ে বড় বড় সভা হয়েছে। সেখানে লক্ষ লক্ষ মতুয়া ভক্ত উপস্থিত হয়েছেন। প্রতিটি সভায় জনপ্লাবন হয়েছে। তবুও মতুয়া সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের প্রার্থী করা হয়নি।’ এখন রাজ্যের যে সমস্ত আসনে মতুয়া ভোটের প্রভাব রয়েছে, তার একটা অংশে মতুয়ারাই প্রার্থী হোন। এই ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। কিন্তু সেটা মানা হয়নি। তাই এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক বলে সূত্রের খবর। আর মমতাবালা ঠাকুর স্পষ্ট বলছেন, ‘বিজেপি ভাঁওতা দিয়েছে।’