নন্দীগ্রামে বিজেপি কর্মীর স্ত্রীকে ধর্ষণের পর হাত – মুখ বেঁধে ফেলে রেখে যাওয়ার ঘটনায় রাজ্যের নারী নিরাপত্তাকে ফের প্রশ্নের মুখে দাঁড় করালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মঙ্গলবার নন্দীগ্রামে প্রচারের শেষ দিনে রোড শোয়ের পর রেয়াপাড়ায় দলের কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠকে এই নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় তোলেন তিনি। বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী যখন নন্দীগ্রামে তখন তার থেকে ৫ কিলোমিটারের মধ্যে ধর্ষিতা হয়েছেন একজন মহিলা। তাহলে রাজ্যে নারী নিরাপত্তার অবস্থাটা ভেবে দেখুন।’
এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে শাহ বলেন, ‘রাজ্যের মানুষ পরিবর্তন চাইছেন। তবে এই পরিবর্তন করার একটা সহজ উপায় রয়েছে। নন্দীগ্রামে মমতা দিদিকে হারাতে পারলে নিজে থেকেই রাজ্যে পরিবর্তন হবে। আর শুধু হারালেই হবে না। হারাতে হবে বিপুল ব্যবধানে।’
সোমবার রাতে নন্দীগ্রামের তেঁতুলবাড়িতে এক বিজেপি কর্মীর স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। শুভেন্দু অধিকারীর হয়ে প্রচার সেরে রাতে বাড়ি ফিরে ওই বিজেপি কর্মী দেখেন স্ত্রীকে হাত – পা বেঁধে কেউ মাটিতে ফেলে রেখে গিয়েছে। গলায় পেঁচানো রয়েছে দড়ি। তাঁকে উদ্ধার করে তমলুক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিজেপির দাবি, পরাজয় নিশ্চিত জেনে এলাকায় সন্ত্রাস ছড়ানোর চেষ্টা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির দাবি, মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এই নিয়ে শাহ এদিন বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী নন্দীগ্রামে থাকাকালীন তার থেকে ৫ কিলোমিটারের মধ্যে ধর্ষণ হচ্ছে। এতেই বোঝা যায় রাজ্যে নারী নিরাপত্তার অবস্থাটা ঠিক কী। মুখে নারী নিরাপত্তার কথা বললেও মহিলাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’।
এদিনের সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে জেতানোর আহ্বান জানান অমিত শাহ। বলেন বাংলার পরিবর্তনে নেতৃত্ব দেবে নন্দীগ্রাম।